সেলিম মাহবুব,সিলেট
সুনামগঞ্জের দোয়ারাবাজার সীমান্ত দিয়ে প্রতিরাতেই চোরাইপথে অবাধে আসছে ভারতীয় গরু-মহিষের চালান। পরে এসব দোয়ারাবাজার থেকে সুনামগঞ্জ ও ছাতক হয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে পাচার করছে স্থানীয় চোরাকারবারিরা। প্রতিরাতে চোরাকারবারিদের দখলে চলে যায় দোয়ারা বাজার উপজেলার সীমান্তের চার ইউনিয়ন ও ছাতকের ২ টি ইউনিয়নের রাস্তাঘাট। সীমান্তরক্ষী বাহিনী ও পুলিশ প্রশাসন এ বিষয়ে অবগত থাকলে ও মূলত এ ব্যাপারে কার্যকরি কোনো পদক্ষেপ নেন নি তারা। স্থানীয় লোক একাধিকবার ভারতীয় গরু মহিষ আটক করে ছাতক ও দোয়ারাবাজার থানা পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ এসব বিষয়ে কোন কর্ণপাতই করেনি বলে জানান ভুক্তভোগীরা। অপরদিকে এলাকার ব্যবসায়ী ও চোরাকারবারিদের সাথে আইনশৃ্ঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের বেশ দহরম-মহরম ও সখ্যতা প্রায়ই পরিলক্ষিত হয়। মাঝে মধ্যে অভিযানের নামে আইওয়াস করে ২/৪ গো-মহিষ চালান দিতে দেখা যায়। দোয়ারাবাজার উপজেলার বোগলা, বাংলাবাজার, লক্ষীপুর ও নরসিংপুর ইউনিয়নের বিভিন্ন রুট দিয়ে নিয়মিত ছাতকে আসছে ভারতীয় গরু-মহিষ। আর এখন থেকেই দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে গরু-মহিষ পাচার হয়ে থাকে।এদিকে ভারতীয় গরু-মহিষ আমদানি নিয়ে ছাতক এবং দোয়ারাবাজারে একাধিকবার সংঘর্ষের ঘটনা ও ঘটেছে। ছাতক- দোয়ারাবাজারের প্রভাবশালী একটি মহল সিন্ডিকেটের মাধ্যমে সীমান্ত এলাকায় চোরাই ব্যবসা পরিচালনা করে যাচ্ছেন বলে ছাতকের নোয়ারাই, বাতির কান্দি, বারকাহন, ছনবাড়ী, ধনিটিলা ও দোয়ারাবাজারের বোগলা, নরসিংপুর, চাইরগাঁও, লাসতবের গাঁও এলাকার বেশ কিছু লোকজন জানিয়েছেন। প্রশাসনের উর্ধ্বতন কর্মকতাদের হস্তক্ষেপ ছাড়া এখানে চোরাচালান রোধ সম্ভব নয় বলে ও তারা এও জানান।##