নিজস্ব প্রতিবেদক
পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী এবং সাপ্তাহিক দুইদিনের ছুটি মিলিয়ে টানা তিনদিনের ছুটি। সব মিলিয়ে ঢাকার রাস্তায় মানুষের চলাচল কমেছে। রাজপথে নেই যানবাহনের বাড়তি চাপ। রাজধানীর প্রধান প্রধান সড়কগুলো প্রায় ফাঁকা। এ যেন ঈদের ছুটির আমেজ। আজ থেকে টানা তিন দিন ছুটি থাকায় ইট-পাথরের শহরের জঞ্ঝাল ছেড়ে শান্তির খোঁজে অনেকেই ঢাকা ছেড়েছেন। কেউ গেছেন গ্রামের বাড়িতে আবার কেউবা পরিবার নিয়ে বেড়াতে গেছেন কোনো পর্যটন এলাকায়।
যানজট না থাকায় এক স্থান থেকে অন্য স্থানে সহজেই যাতায়াত করতে করা যাচ্ছে। এমনকি যানজট প্রবণ অঞ্চলগুলোতেও ট্র্যাফিক সিগন্যাল পড়তে দেখা যাচ্ছে না।
বৃহস্পতিবার (২৮শে সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা গেছে।
ঢাকার রাস্তা এমন ফাঁকা থাকায় ঘর থেকে বের হওয়া মানুষরা বেশ খুশি। কোনো ধরনের ঝক্কি-ঝামেলা ছাড়াই রাস্তায় যাতায়াত করতে পারছেন তারা। গণপরিবহনে উঠতে কোনো ধরনের বেগ পেতে হচ্ছে না। সহজেই পাওয়া যাচ্ছে বসার আসন। আবার যাত্রীর সংখ্যা কম হলেও যানবাহনের কর্মীরাও বিরক্ত না। বরং যানজটমুক্ত রাস্তায় গাড়ি চালাতে পেরে তারাও খুশি।
এর ফলে রাজধানীর সড়কে কমেছে মানুষের চাপ। এতে করে সড়কে চিরচেনা যানজট ও কোলাহলের চিত্রে কিছুটা ভিন্নতা দেখা গেছে।
কুড়িল, বাড্ডা, রামপুরা, শান্তিনগর ও পল্টন এলাকায় ঘুরে দেখা যায়, সকাল থেকে ঢাকার রাজপথে যানবাহন ও যাত্রীদের উপস্থিত খুবই কম। সাধারণত বৃহস্পতিবারে ঢাকার রাস্তাঘাটে যানবাহন ও যাত্রীদের প্রচুর চাপ থাকে। কিন্তু আজ সেই চিত্র নেই। রাস্তায় হাতে গোনা কয়েকটি গণপরিবহন চলছে, এসব বাসেও খুব বেশি যাত্রী নেই। অন্যদিকে, রাস্তায় কিছু ব্যক্তিগত যানবাহন, সিএনজিচালিত অটোরিকশা ও রিকশার চলাচল রয়েছে।
যাত্রীরা বলছেন, টানা ছুটিতে রাস্তা প্রায় ঈদের ছুটির মতো ফাঁকা রয়েছে। এক ঘণ্টার রাস্তা এখন ১০-১৫ মিনিটেই ভ্রমণ করা যাচ্ছে।
এদিকে, ফাঁকা রাস্তায় রিকশায় চড়ে বেড়াতে বের হয়েছেন অনেকে। তাদের উদ্দেশ্য হলো, দুপুর হওয়ার আগেই শপিং মল, সিনেমা হল কিংবা অন্য কোনো স্থানে যাওয়া।
টানা ছুটিতে রাস্তা ফাঁকা থাকার ব্যাপারে গণপরিবহনের চালকরা বলছেন, বৃহস্পতিবার ও শুক্রবারে রাস্তার অবস্থা একই থাকবে। শনিবারে অনেক বেসরকারি অফিস খুললে তখন যাত্রীর সংখ্যা বাড়বে।
গাজীপুর থেকে গুলিস্তানগামী গাজীপুর পরিবহনের এক চালক বলেন, ঢাকার রাস্তা ফাঁকা। যানজট ছাড়াই চলাচল করা যাচ্ছে। তবে যাত্রি না থাকায় সড়কেবাস অনেক কম। আগামীকাল শুক্রবারও এই অবস্থা থাকবে। তবে শনিবারে অনেক বেসরকারি অফিস খুললে তখন কিছুটা যাত্রী পাওয়া যাবে বলে জানান তিনি।
নগরবাসীর ছুটি থাকায় গণপরিবহন শ্রমিকরাও চলে গেছেন ছুটিতে। এতে সড়কে গাড়ির সংখ্যা অনেক কম। স্বাভাবিকভাবেই ঢাকায় ট্রাফিক পুলিশ সদস্যরা অন্যান্য দিনের তুলনায় অনেকটা স্বস্তিতে রয়েছেন। আর যেসব গণপরিবহন চলছে, সেগুলোতে আসন ফাঁকা দেখা গেছে।
এমবি/২৮