কলকাতা থেকে নিউজ দাতা মনোয়ার ইমাম
বাংলাদেশের ছাত্র ও জনতার আন্দোলনের জেরে সেদেশের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের চাপে পড়ে আগে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে ভারতে আশ্রয় নিয়েছে। তার পর থেকে অশান্ত বাংলাদেশের বিভিন্ন যায়গায় সেদেশের ছাত্র ও জনতার হাতে নিগৃহীত হচ্ছে আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীরা। সেই ঘরবাড়ি ছেড়ে পালিয়ে আসছে হাজার হাজার আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীরা।তাই নয় পালিয়ে যায় আসছে সেদেশের আওয়ামী লীগের হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতা ও কর্মীরা। তাদের ঘর বাড়ি পুড়িয়ে দিয়েছে। কোথাও আবার লুটপাট চালানো হয়েছে। ইতিমধ্যেই সেদেশের সেনাবাহিনী মোতায়েনের করা হয়েছে। বহু যায়গায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিক্ষোভ মিছিল করেছে। আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীরা গোপালগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকায় বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করে। তাদের বিক্ষোভের মুখে পুড়েছে সেনাবাহিনী গাড়ি।আহত হয়েছেন সেনাবাহিনী সদস্যরা। সেনাবাহিনীর পাল্টা মারে বহু আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীরা গোপালগঞ্জ ছাড়তে শুরু করেছে। এই অবস্থায় ভারতের আন্তর্জাতিক সীমান্ত এলাকায় হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতি টের পাওয়া গেছে।তারা যে কোন সময় ভারতের সীমান্ত থেকে পশ্চিম বাংলা ও ত্রিপুরা এবং মেঘালয় সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করতে পারে। গতকাল ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার রঘুনাথপুর সীমান্তে বিএসএফের 115, নাম্বার রাস্ট্রীয় রাইফেল এর সদস্যরা গ্রেফতার করে বাংলাদেশের আওয়ামী লীগের নেতা আব্দুল কাদেরকে। তিনি ভারত ও বাংলাদেশের রঘুনাথপুর আন্তর্জাতিক সীমান্ত অতিক্রম করার সময়। তাকে আজ মুর্শিদাবাদ জেলার জঙ্গিপুর জেলা পুলিশের আদালতে হাজির করা হবে। ইতিমধ্যেই পশ্চিম বাংলা ও ত্রিপুরা রাজ্যের এবং মেঘালয় রাজ্যের সীমান্ত এলাকায় বেশ কিছু আওয়ামী লীগের নেতা ও কর্মীদের গ্রেপ্তার করেছে ভারতের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর সদস্যরা।।