স্পোর্টস ডেস্ক নিউজ:
“গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান” এই প্রতিপাদ্য কে সামনে রেখে সাইকেল চালিয়ে টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া পাড়ি দিলেন মোঃ দিদার হোসেন নামের এক যুবক। তার বাড়ি মাদারীপুর জেলার রাজৈর উপজেলার বদরপাশা গ্রামে। তিনি পেশায় একজন ঠিকাদারি ব্যবসায়ী।
টেকনাফ থেকে তেঁতুলিয়া ! দেশের এ দুই প্রান্তের দূরত্ব এক হাজার চার কিলোমিটার। প্রচন্ড গরমের মধ্যেও মাত্র দশ দিনে বিশাল এই দূরত্ব সাইকেল চালিয়ে পাড়ি দিয়েছেন তিনি।
জানা যায়, গত ১৫ এপ্রিল দেশের শুনামধন্য সাইক্লিস্ট পরিবার হেমন্ত রাইডার্স আয়োজিত “হেমন্ত ক্রসক্রান্টি – ৯” এর ব্যানারে তেতুলিয়ার বাংলাবান্ধা জিরো পয়েন্ট তথা বাংলাদেশ ও ভারত আন্তঃ সীমান্তবর্তী মহানন্দা নদীর তীর হতে শুরু করে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপে বাংলাদেশ ও মিয়ানমার আন্তঃ সীমান্তবর্তী নাফ নদীর তীর পর্যন্ত সাতটি ওয়ার্ক আউটের মাধ্যমে গত ২৪ শে এপ্রিল দেশের একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে সাইক্লিং সম্পন্ন করেন দিদার। তিনি এই দশ দিনের যাত্রায় নীলফামারী, গাইবান্ধা, গোবিন্দগঞ্জ, ঢাকা, ফেনী, চট্টগ্রাম, কক্সবাজার জেলার বিভিন্ন স্থানে রাত্রীকালীন যাত্রা বিরতি করেন। সর্বশেষ ২৪শে এপ্রিল কক্সবাজারের কলাতলি থেকে মেরিন ড্রাইভ ধরে টেকনাফের শাহপরীর দ্বীপ তথা বাংলাদেশ ও মিয়ানমার আন্তঃ সীমান্তবর্তী নাফ নদীর তীরে তার এই সাইক্লিং মহাযজ্ঞ সমাপ্ত ঘোষণা করেন। শাহপরীর দ্বীপে পৌঁছালে তাকে সংবর্ধনা জানান সামাজিক সংগঠন “রেড এন্ড গ্রীণ ” এর চেয়ারম্যান তাফছিরুল ইসলাম সানি।
এসময় দিদার জানান, বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তনের ব্যাপক প্রভাব আমাদের দেশেও পড়েছে, কার্বনডাইঅক্সাইড জলবায়ুর সবচেয়ে বড় শত্রু। বৈশ্বিক উষ্ণায়ন রোধে বেশি বেশি বৃক্ষ রোপণ অপরিহার্য। হেমন্ত রাইডার্সের প্রতিষ্ঠাতা মোহাম্মাদ হেদায়েতুল হাসান ফিলিপ ভাই “গাছ লাগান, পরিবেশ বাঁচান” এই স্লোগানকে সাইক্লিংয়ের মাধ্যমে দেশের একপ্রান্ত থেকে অপরপ্রান্তে ছড়িয়ে দিতে অনুপ্রাণিত করে এবং সাইক্লিং এর প্রতি আগ্রহ ও ভালোবাসা থেকেই আমার এই উদ্যোগ। দিদারের এই উদ্যোগে সহযোগিতা ও পৃষ্ঠপোষকতা করেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান আমীনা কনস্ট্রাকশন।
এছাড়া তিনি বিভিন্ন ম্যারাথন এবং সাইক্লিং ইভেন্টে অংশ গ্রহণ করে থাকেন। এখন তার স্বপ্ন বাংলা চ্যানেল পাড়ি দেওয়া।