ভারত থেকে নিজস্ব প্রতিবেদক।
আজ ১৯শে সেপ্টেম্বর বৃহস্পতিবার,, ঠিক বেলা একটায়, বিদ্যুৎ গ্রাহকেরা, সুবোধ মল্লিক স্কোয়ারে জমায়েত হয়ে, প্রথমে প্রতিবাদ শোভা করেন, আর জি কর কাণ্ডে মহিলা চিকিৎসকে খুন ও ধর্ষণের প্রতিবাদে দোষীদের শাস্তি দাবিতে এবং স্মার্ট মিটারের প্রতিবাদে। আইন অমান্য আন্দোলন করলেন।
প্রায় কয়েকশো বিদ্যুৎ গ্রাহক এই সভায় ও মিছিলে পা মেলান।, সুবোধ মল্লিক স্কোয়ার থেকে মিছিল এস এন ব্যানার্জি রোড ধরে রানী রাসমণিতে শেষ হয়।
মিছিলের নেতৃত্ব দেন সম্পাদক প্রদীপ প্রামানিক, সভাপতি অনুকূল ভদ্র , সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বিশ্বাস ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন অন্যান্যরা।
মিছিলের মধ্য দিয়ে একদিকে যেমন স্লোগান তুলেন আর জি করের মহিলা চিকিৎসককে খুন ও ধর্ষণের দোষীদের শাস্তির দাবিতে, এবং স্মার্ট মিটার চালু করা যাবে না তার প্রতিবাদে এই মিছিল।
প্রায় ৬০০ থেকে ৭০০ মিটার গ্রাহক একত্রিত হয়ে মিছিলে পা মেলান, এবং তারা বলেন আইন অমান্য করতে গিয়ে যদি সবাইকে প্রশাসন অ্যারেস্ট করে তাতেও তারা পিছুপা হবে না, তারা একপাও নড়বে না, তারা এর বিরুদ্ধে দু-তিন বছর লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে চালিয়ে যাবে, এবং মিছিলে একটাই স্লোগান তুলেন জাস্টিস ফর আরজি কর।
বিদ্যুৎ বিলের বাড়তি বোঝা ও স্মার্ট মিটারের মাধ্যমে স্মাটলি টাকা লুটের প্রতিবাদে আমাদের এই আন্দোলন। তারা বলেন সিএসসি ,রাজ্য বিদ্যুৎ আইন বন্টন কোম্পানি, রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন এবং সর্বোপরি রাজ্য সরকার বিদ্যুৎ গ্ৰাহক দের স্বার্থে কোনো তোয়াক্কা করছে না। কর্পোরেট হাউসের স্বার্থে আইন তাদের জন্য তৈরি করছেন। তারা বলেন স্মার্ট মিটার মানে টাকা লুটের মিটার, গ্রাহকদের টাকা লুট করার পথে নেমেছে ,আমরা তাও হতে দেব না।
ক্ষুদ্র শিল্প গ্রাহকরা এই স্মার্ট মিটার লাগানোর বিরোধিতা করলে লাইন কেটে দেওয়া হচ্ছে, পুলিশ কেস দেওয়ার চিঠি দিয়ে জুলুমবাজি করছেন, তবে যদিও গ্রাহকদের আন্দোলনের চাপে রাজ্য বিদ্যুৎ নিয়ন্ত্রণ কমিশন স্মার্ট মিটার লাগানোর অনুমোদন এখনো পর্যন্ত দেননি।, আমরা স্মার্ট মিটার লাগাতে দেবোনা, আজ আমরা আইন অমান্য আন্দোলনের পথে নেমেছি কয়েক হাজার বিদ্যুৎ গ্রাহক সংযুক্ত হয়ে। আমরা দেখতে চাই প্রশাসন আমাদেরকে কিভাবে আটকে রাখে। আমরা জেলে যেতও দ্বিধা করবো না, তবুও চালু করতে দেবোনা এই স্মার্ট মিটার,
মিছিল যত রানী রাসমণি রোডের দিকে এগিয়ে চলেছে, প্রশাসনের লোকেরা ব্যারিকেট দিয়ে শান্তিপূর্ণভাবে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছেন
রিপোর্টার , শম্পা দাস ও সমরেশ রায় , কলকাতা