October 11, 2024, 11:26 pm
শিরোনাম :
রাজশাহীর বাঘায় পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব শ্রী রথীন্দ্রনাথ দত্ত।  নড়াইল পহরডাঙ্গা বিএনপি মতবিনিময় সভা লোহাগড়া থানা কর্তৃক ১৩ (তের) জন আসামি গ্রেফতার শ্রীমঙ্গলে মহা অষ্ঠমীতে কুমারী পূজা, হাজারো দর্শণার্থীর ভিড় মৌলভীবাজারের সাতটি উপজেলায় এক হাজার তিনটি পূজামন্ডপে মহা সপ্তমী পূজা পালন হচ্ছে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো।রহিম বাদশার।দুর্গাপূজার উপহার সামগ্রী বিতরণ। বাঘায় বিএনপির সাবেক উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল মামুন বিভিন্ন পূজামণ্ডপ পরিদর্শন। মধুপুরে পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করলেন জেলা প্রশাসক নড়াইলে নানা আয়োজনে সুলতানের মৃত্যুবার্ষিকী পালিত মধুপুরে রাতে বিভিন্ন পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করলেন জেলা পুলিশ সুপার

আওয়ামী লীগের প্রতীক, স্বাধীনতার প্রতীক, বাংলাদেশের প্রতীক -নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী॥

সাদেকুল ইসলাম সুবেল,

বিরল দিনাজপুর(প্রতিনিধি’

বিরলে শনিবার সকালে ভোটার অফ দ্যি ইলেকশন খ্যাত বৃদ্ধা শ্রীমতি কামবালা এর আবাসস্থলে নবনির্মিত কামবালা নিবাস এর শুভ উদ্বোধন করা হয়েছে। এর আগে শ্রীমতি কামবালা এর আবাসস্থলে যাতায়াতের সড়কটি পাকাকরণ ও কামবালা সড়ক এর ভিত্তি প্রস্তরের শুভ উদ্বোধন করা হয়। পরে সূধী সমাবেশে প্রধান অতিথি’র বক্তব্য রাখেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি।
প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্বের দল আওয়ামী লীগ। সেই দলের প্রার্থীকে তিনি চিনেন না। তিনি নিজেই আগ্রহ সহকারে সেই সভামঞ্চের দিকে এগিয়ে গিয়ে প্রার্থীকে খুঁজে নিয়েছেন এবং তিনি সেই সময় নির্বাচনী প্রচারণার জন্য তাঁর যৎসামান্য যেই সঞ্চয় আছে সেই সঞ্চয় প্রার্থীর হাতে তুলে দিয়েছেন। আওয়ামী লীগের প্রতীক, স্বাধীনতার প্রতীক, বাংলাদেশের প্রতীক নৌকার প্রতি তাঁর যে অগাধ বিশ্বাস এবং আস্থা সেটা আমি যখন তাঁকে নৌকা প্রতীকের বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত একটি ব্যাচ পড়িয়েছিলাম তখন তিনি বলেছেন এই প্রতীক আমি চিনি এবং প্রতীক আমাকে চিনাতে হবেনা। এই যে তাঁর নৌকা প্রতীকের প্রতি বিশ্বাস এবং আস্থা যে একজন প্রার্থীও একজন ভোটারের কাছে সেদিন পরাজিত হয়েছে, বিশ্বাসের কাছে, আস্থার কাছে। প্রার্থী আস্থা হারিয়ে তাঁকে নৌকা প্রতীকের বঙ্গবন্ধুর ছবি সম্বলিত একটি ব্যাচ পড়িয়ে দিতে যাচ্ছে আর তিনি তাঁর বিশ্বাস ও আস্থা থেকে বলেছেন আমি নৌকা প্রতীক চিনি এবং জানি। এটা কত বড় একটা বিষয় আমার রাজনৈতিক জীবনের এটা একটা বিরাট অভিজ্ঞতা। আমি সেদিন বলেছিলাম, আমি যদি নির্বাচিত হই, আমি তাঁর বাসায় গিয়ে দেখা করবো। আমি নির্বাচিত হওয়ার পরে যখন শপথ গ্রহণ করি, পরবর্তীতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যখন আমাকে তাঁর মন্ত্রীসভায় জায়গা করে দিয়েছেন এরপরেই আমি যখন নির্বাচনী এলাকায় এসেছি আমি প্রথম এই যে ঐতিহাসিক ভোটার এবং আমি নির্বাচন কমিশনের প্রধান নির্বাচন কমিশনারকে পর্যন্ত বলেছি, যে কামবালা এই নির্বাচনের “ভোটার অফ দ্যি ইলেকশন”। হতে পারে কারণ তিনি যে দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন এটা শুধু একটি ভোটের বিষয় নয়, এটা অত্যন্ত একটা শিক্ষণীয় বিষয়। একটি ভোট একটি জাতির ভাগ্য পরিবর্তন করে দিতে পারে। একটি ভোট একটি দেশকে উন্নয়নের শিকড়ে পৌছে দিতে পারে। একটি ভোট একটি এলাকাকে জাগড়িত করতে পারে। একটি ভোট একটি জনগোষ্ঠীকে সমগ্র পৃথিবীতে তুলে আনতে পারে তার অভিজ্ঞতা দিয়ে।
১৯৭০ সালে যে নির্বাচন হয়েছিল, যে নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব নৌকা প্রতীক নিয়ে জনগণের দাড়ে দাড়ে গিয়েছিলেন, এবং নৌকা জনগণের প্রতীকে পরিণত হয়েছিল এবং নৌকা প্রতীক তখন একক সংখ্যাগরীষ্ঠতা অর্জন করেছিল। বঙ্গবন্ধু বাংলদেশের মানুষের শুধু অধিকার ফিরিয়ে দিয়ে গেছেন তা নয় একটি স্বাধীন সার্বভৌমত্ব দেশ দিয়ে গেছেন। আমরা তাবৎ দুনিয়ায় আমরা জাতি হিসেবে আমরা আজকে মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারি। আমরা তাবৎ দুনিয়ায় গর্ব করে বলতে পারি আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক। জাতি হিসেবে আমরা বাঙালী। একটি ভোট কিভাবে মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে পারে। একটি ভোটের গুরুত্ব কতটুকু তা তিনি দিয়ে যেতে পেরেছিলেন এই ভোটের কারণে। আমরা ৯৬ সালের ১২ জুন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ভোট দিয়েছিলাম। তিনি বাংলাদেশের মানুষের ৫ বছরে ভাগ্যের পরিবর্তন করেছিলেন। কিন্তু ৫ বছর পরে ২০০১ সালে ১লা অক্টোবরের নির্বাচনে বাংলাদেশের মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নেয়া হয়েছিল। নির্যাতন, নিপীড়ন, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাসবাদ বাংলাদেশের মানুষকে সর্বশান্ত করেছে। বাংলাদেশের মানুষের কোন বাক স্বাধীনতা ছিল না। সংসদ সদস্যদের নিরাপত্তা ছিল না। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড মেরে হত্যা করার মত মহাপরিকল্পনা করা হয়েছিল। বাংলাদেশকে একটি সন্ত্রাসবাদের জনগোষ্ঠী হিসেবে সমগ্র পৃথিবীতে পরিচয় করে দেয়া হয়েছিল। সেই সন্ত্রাসবাদকে চ্যালেঞ্জ করে আজকে ভোটের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দায়িত্ব নিয়েছেন। দায়িত্ব নিয়েই তিনি ভূমিহীন, গৃহহীন মানুষদের বিনামূল্যে ঘর দিয়েছেন। এই এলাকায় ২০ ভাগ বিদ্যুৎ ছিল না, তিনি শতভাগ বিদ্যুৎ দিয়েছেন। এই চ্যালেঞ্জ তিনি গ্রহণ করেই বাংলাদেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছেন। আজকের আমার যুবকেরা ইন্টারনেট ব্যবহার করছে, সমগ্র পৃথিবীকে হাতের মুঠোয় নিয়ে এসেছে। প্রধানমন্ত্রী লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছেন ২০৪১ সাল বাংলাদেশ হবে উন্নত দেশ। আপনারা নৌকা প্রতীকে ভোট দিয়েছিলেন বলেই আজ বাংলাদেশ নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। ২০২৬ সালে আমরা মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হবো।
বিরলের ধর্মপুর ইউনিয়নের গোদাবাড়ী গ্রামে সূধী সমবেশে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা প্রশাসক শাকিল আহমেদ, পুলিশ সুপার শাহ ইফতেখার আহমেদ, উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, উপজেলা নির্বাহী অফিসার বহ্নি শিখা আশা, অফিসার ইনচার্জ গোলাম মাওলা শাহ, উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি আলহাজ¦ সবুজার সিদ্দিক সাগর, সাধারণ সম্পাদক রমাকান্ত রায়, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের সদস্য মোশারফ হোসেন, এ্যাড. রবিউল ইসলাম রবি (পিপি), সাংগঠনিক সম্পাদক শফিকুল আজাদ মনি, বিভূতি ভূষণ সরকার, লায়লা আরজুমান্দ বানু, ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি আব্দুল মজিদ মাষ্টার, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি আব্দুল মালেক, স্বেচ্ছাসেবকলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি সুরজিৎ কুমার রায় বাবুল প্রমূখ। ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক রতন চন্দ্র রায় অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন। পরে প্রধান অতিথি নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী এমপি নির্বাচনী এলাকায় ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ এলাকা পরিদর্শন করেন এবং ২ শতাধিক পরিবারের মাঝে চাল বিতরণ করেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা