মোঃ আবুল কাশেম, জেলা প্রতিনিধি, ভোলা, বরিশাল, বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ নামক রাজনৈতিক দলটি বর্তমানে আইনানুগভাবে নিষিদ্ধ। বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের শাসনামলের বিগত ষোল বছরের জাতীয় আয় ও দেশাত্ববাদী অর্জনকে গোপনাঙ্গ টনকের কাজে ব্যবহারের জন্য ঐ নিষিদ্ধ রাজনৈতিক দলটি তৎপর রয়েছে। এহেন তৎপরতা দিয়ে ঐ নিষিদ্ধ দলটি দেশের বিবাহ আইন নামক খারাপ আইনটি ব্যবহার করে দেশের নারী ধর্ষণ ও যুবতি ধর্ষণ ব্যবসায় জড়িত ও নিয়োজিত রয়েছে। দেশের সংবিধানের ২৬ নং আর্টিকেলের সাথে সাংঘর্ষিক বিবাহ আইন নামক বেআইনি বিবাহ আইনটি রক্ষনাবেক্ষনের একপঞ্চাশ প্রকার ইসলাম নামক ধর্মের মধ্যে জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশও একটি ইসলাম ধর্ম। এক পঞ্চাশ প্রকার ইসলাম ধর্মের মধ্যে (ক) দেওবন্দীতে ১৩ প্রকার ইসলাম ধর্ম, (খ) আহলে হাদিসে ১৫ প্রকার ইসলাম ধর্ম, (গ) ব্রেলভীতে ১৬ প্রকার ইসলাম ধর্ম, (ঘ) জঙ্গী ইসলাম ধর্ম ৬ প্রকার ও (ঙ)জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ এক প্রকার ইসলাম ধর্ম। (ক) দেওবন্দী ইসলাম ধর্মে রয়েছে তাবলিগ জামায়াতের ইসলাম ধর্ম, তাবলিগ জামায়াতের সাদ কান্দলভিপন্থী ইসলাম ধর্ম, চরমোনাইর ইসলামী আন্দোলন পন্থী ইসলাম ধর্ম, ওয়াক্কাসের জমিয়তে ইসলাম ধর্ম, নুর নোসেনের জমিয়তে ইসলাম ধর্ম, খেলাফত আন্দোলনের ইসলাম ধর্ম, খেলাফত মজলিসের ইসলাম ধর্ম, ইসলামী ঐক্যজোটের আজিজুল হক্বী ইসলাম ধর্ম, ইসলামী ঐক্যজোটের আমিনি ইসলাম ধর্ম, ইসলামী ঐক্যজোটের মেসবাহুর রহমানি ইসলাম ধর্ম, ইসলামী ঐক্যজোটের ইজহারুল ইসলামী ইসলাম ধর্ম, নেজামে ইসলামী ইসলাম ধর্ম ও হেফাজতে ইসলামী ইসলাম ধর্ম। (খ) আহলে হাদিসের ১৫ প্রকার ইসলাম ধর্মে আছে জমিয়তে আহলে হাদিসের ইসলাম ধর্ম, শুরাবায়ে আহলে হাদিসের ইসলাম ধর্ম, আহলে হাদিসী আন্দোলনের গালিবী ইসলাম ধর্ম, আহলে হাদিসী আন্দোলনের আ: রাজ্জাকী ইসলাম ধর্ম, আহলে হাদিসের তাবলিগী ইসলাম ধর্ম, জমিয়তে শুব্বানে আহলে হাদিসী ইসলাম ধর্ম, মুজাফফর আহলে হাদিস যুব সংঘের ইসলাম ধর্ম, মাদখালে আহলে হাদিসী আকরামুজ্জামানের ইসলাম ধর্ম, অল ইন্ডিয়া আহলে হাদিসী ইসলাম ধর্ম, আঞ্জুমানে আহলে হাদিসী ইসলাম ধর্ম, বঙ্গ ও আসাম জমিয়তে আহলে হাদিসী ইসলাম ধর্ম, সালাফি আহলে হাদিসী ইসলাম ধর্ম, কুতুবি সালাফি আহলে হাদিসী ইসলাম ধর্ম, সুরুলি সালাফি আহলে হাদিসী ইসলাম ধর্ম ও জামিয়াহ আহলে হাদিসী ইসলাম ধর্ম। (গ) ব্রেলভি ১৬ প্রকার ইসলাম ধর্মের মধ্যে চট্রগ্রামের আহলে সুন্নাত ওয়াল জামায়াতের ইসলাম ধর্ম বেশ্ পরিচিত। অন্যগুলো হলো ফুলতলীপন্থী সিলেটি ইসলাম ধর্ম, দেওয়ানবাগী ইসলাম ধর্ম, রাজারবাগী ইসলাম ধর্ম, ফুলেশ্বরী ইসলাম ধর্ম, সুরেশ্বরী ইসলাম ধর্ম, চন্দ্রপুরী ইসলাম ধর্ম, এনায়েতপুরী ইসলাম ধর্ম, আটরশীর ইসলাম ধর্ম, মাইজভাণ্ডারীর ইসলাম ধর্ম, ইসলামিক ফ্রন্টের মতিনপন্থী ইসলাম ধর্ম, ইসলামিক ফ্রন্টের জুবাইরপন্থী ইসলাম ধর্ম, দাওয়াতুল ইসলামের ইসলাম ধর্ম, মুনিরিয়া তাবলীগ কমিটির ইসলাম ধর্ম, তরিকত ফেডারেশনের ইসলাম ধর্ম, ও গাউছিয়া কমিটি বাংলাদেশের ইসলাম ধর্ম, (ঘ) জঙ্গি ৬ প্রকারের ইসলাম ধর্মের মধ্যে জেএমবির ইসলাম ধর্ম, আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের ইসলাম ধর্ম, হেজবুত তাহরিরের ইসলাম ধর্ম, হেজবুত তাওহিদের ইসলাম ধর্ম, হরকাতুল জিহাদের ইসলাম ধর্ম ও আইএসের ইসলাম ধর্মের সন্ধান পাওয়া গেছে। জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ নামক ইসলাম ধর্মে ইসলামী শরাশরীয়তের ধর্মীয় বিবাহের আইনে তাদের দলীয় হুজুরকে স্বীকৃতি দেয়। অন্য পঞ্চাশ প্রকার ইসলাম ধর্মের পঞ্চাশ প্রকার হুজুরের স্বীকৃতি দেয় না। আবার বিবাহ নিবন্ধন আইনে ও বিবাহ বিচ্ছেদ নিবন্ধন আইনে ঢাকা মাদ্রাসা বোর্ড থেকে আলেম পাশ করা হজুরকে নিবন্ধকের জন্য নির্ধারণ করা থাকলেও উক্ত এক পঞ্চাশ প্রকারের ইসলাম ধর্ম হুজুরের কোন প্রকারের হুজুর নিবন্ধক হবে তার কোন বিধান বাংলাদেশের বিবাহ আইনে নাই। তাই গত ২৩/০৯/২০২৪ ইং তারিখে বিকাল বেলায় জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ (জাইবা) জঘন্য ভয়ঙ্কর ভয়ঙ্কর রক্তপাতের ও যুদ্ধ-বিগ্রহের ইতিহাসের ইঙ্গিত দেয়। জাইবা এর চরফ্যাসন উপজেলা শাখার উদ্যোগে সীরাতুন্নবী (সঃ) উপলক্ষ্যের আলোচনা সভার নাম দিয়ে ধর্ষন ব্যবসা, বিবাহ ব্যবসা, দেহ ব্যবসা চাঙ্গা করার জন্য আলোচনা সভা করে। আলোচনা সভার বক্তাদের বক্তব্যের কারনে কন্যা দায়গ্রস্ত পিতামাতা, কন্যার বিবাহ দায়গ্রস্ত পিতামাতা, নারী ও যুবতিরা ধর্ষন ব্যবসায়ী, বিবাহ ব্যবসায়ী, দেহ ব্যবসায়ীদের নিকট অদৃশ্য ও গুপ্ত ভয় ও ভীতি প্রাপ্ত হয়। তাতে ঐ অবৈধ জনসভা নারী ও যুবতিদের সতীর্থ বিসর্জন সহজলভ্য করে। সতীর্থ বিসর্জন সহজলভ্য করার ও ধর্ষণ ব্যবসা হরহরদম করার জন্য জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ (জাইবা) এর উক্ত অবৈধ রাজনৈতিক ধর্ম সভায় চরফ্যাসনের হারুন মাওলানা নামক এক ব্যক্তি হিন্দুদের নিরাপত্তা দেওয়ার কথা বললেও তার এক স্ত্রীর এক ভাই কয়সর ভারতের বাবরী মসজিদ দাঙ্গাকে ইস্যু করে ১৯৯২ ইং সালে ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার বর্তমান শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ডের রাদেশ্যাম, মনোরঞ্জন নামক হিন্দু বাসিন্দাদের ঘরে ঘরে আগুন জ্বালিয়ে দিয়ে বিতারিত করেছে। তাদের বাড়িঘরের ও অন্যান্য জমিতে দৌলতখানের কুখ্যাত মোখলেইস্যা চোরার ছেলে মোস্তফা চোরাকে, মোস্তফা চোরার ছেলে জিসাইন্যা চোরাকে, জিসাইন্যা চোরার মা ফাতেমা খানকিকে, ফাতেমা খানকির চাচা নুরিসলাইম্যা তৈল চোরাকে, নুরিসলাইম্যা তৈল চোরার পুত্র মহিউদ্দিইন্যা লুইচ্চাকে, মহিউদ্দিইন্যা লুইচ্চার চাচাতোবোন ফাতেমা খানকির আপন ভগ্নিপতি তরিকুইল্যা লুইচ্চাকে বাসিন্দা করেছে। তরিকুইল্যা লুইচ্চার চাচাতো ভাই মতিন্যা লুইচ্চাকে দিয়ে জনু সালের মেয়েকে ধর্ষণ করিয়েছে। এই সকল লুইচ্চাদের সিনিয়র লুইচ্চা রহিম দেওয়ান ও লুইচ্চা মোস্তফা দেওয়ান একই রাজনৈতিক দল ঐ জামায়াতে ইসলামীর সতীর্থ হয়ে ইউনুস লুইচ্চা, মানান লুইচ্চা, হান্নান লুইচ্চা, তরিকল কয়াল লুইচ্চা, রফিকল কয়াল লুইচ্চা, বশির সিকদার লুইচ্চা, কালাম সিকদার লুইচ্চা, মোসলেহ উদ্দিন কয়াল লুইচ্চা সহ প্রমুখ ধর্ষকদেরকে ঐ এলাকার বাসিন্দা করেছে। সীরাতুন্নবী (সঃ) উপলক্ষ্যের অবৈধ জনসভায় চরফ্যাশনের সাবেক পৌর কাউন্সিলর কামরুজ্জামান শাহিন ১৭ বছর পর – “ইটভাটা স্থাপন ও নিয়ন্ত্রন আইন-২০১৩” লঙ্ঘন করে স্থাপিত ব্রীক ফিল্ড থেকে ক্রয়কৃত ইট দিয়ে নির্মিত ফ্যাসন স্কয়ারের ঐ ধর্মীয় বা হারামী আসরে খুব সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেয়। ঐ অবৈধ ও বেআইনী সংগঠনের বা ধর্মের আলোচনায় বরিশাল মহানগরীর জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের আমির জহির উদ্দিন বাবর প্রধান অতিথি ছিল। ভোলা জেলা জাইবা’র নায়েবে আমির অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম বেআইনি ও অবৈধ বা হারামী ইটভাটার বেআইনি ও অবৈধ বা হারামী ইট দিয়ে হারামী ঘর-বাড়ি (পাপ) ও উন্নয়ন (পাপ) করা চরফ্যাশনে অশান্ত গর্বে দাঁড়িয়ে কোরানের লোকের বিরুদ্ধে মামলা হলে রক্তপাত ঘটিয়ে প্রতিরোধ করার আহ্বান জানিয়ে আবারো খুন খারাপির চরফ্যাসন উদ্ভাবনের বক্তব্য দিয়েছে। চরফ্যাসন জজ কোর্টের নয়া তরুন এডভোকেট হাবিবুর রহমান মন্জুর গানে গানে বলেছে, “আল্লাকে যারা ভালোবাসে দুঃখ কি আর তাদের থাকতে পারে”। জাইবার থিম সংগীতের গায়কেরা জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশের নেতৃত্বের ধর্ম যুদ্ধের আগমনী ভবিষ্যৎ গনহত্যার ইঙ্গিত পূর্ণ বক্তব্য দিয়েছে। ছবিতে- দক্ষিণ বঙ্গবন্ধুদের উপর গোপন সন্ত্রাসবাদ পরিচালনার অন্যতম নায়ক হারুন (হাউন) মাওলানা কে বক্তব্য দিতে দেখা গেছে।