ছাতকে শিশুর ঝগড়াকে কেন্দ্র করে দু’গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পথচারী সহ উভয় পক্ষের অর্ধশতাধিক ব্যক্তি আহত হয়েছে। গুরুতর আহত অন্তত ৬ জন ভর্তি করা হয়েছে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। বুধবার বিকেল থেকে রাত ৮ টা পর্যন্ত উপজেলা গোবিন্দগঞ্জ-সৈদেরগাও ইউনিয়নের তকিপুর ও গোবিন্দনগর গ্রামবাসীর মধ্যে দফায়-দফায় চলে উভয় গ্রামবাসীর সংঘর্ষ। সংঘর্ষের সময় গোটা এলাকা রণক্ষেত্রে পরিণত হয়। বেশ কয়েকটি দোকান-পাট ও ভাংচুর করা হয়েছে। সংঘর্ষ গোবিন্দগঞ্জ চত্ত্বর সহ এর আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। কয়েক দফা ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনায় ছাতক-গোবিন্দগঞ্জ সিলেট-সুনামগঞ্জ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে পড়ে। সড়কের উভয় পাশে যাত্রীবাহী ও মালবাহী গাড়ি আটকা পড়ে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। সংঘর্ষকারীরা দেশীয় অস্ত্র ও ব্যাপক ইট পাটকেলের ব্যবহার করেছে। সংঘর্ষে গুরুতর আহত হয়েছেন, অলিউর রহমান, রাকিব আলী, সুহেল মিয়া,আশরাফ আহমেদ, নইয়ব আলী, অজুদ মিয়া সহ অর্ধশত লোক। আহতদের মধ্যে অন্তত ৬ জনকে আশংকা জনক অবস্থায় সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অন্যান্য আহতদের স্থানীয় বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবারে একটি বিয়ের অনুষ্ঠান থেকে ফেরার সময় রাস্তার কর্দমাক্ত পানি শরীরে ছিটকে পড়া নিয়ে তকিপুর গ্রামের এনাম আহমদ ও গোবিন্দনগর গ্রামের লায়েক মিয়ার মধ্যে কথা কাটা-কাটি ও হাতাহাতিরর ঘটনা ঘটে। বিষয়টি তাৎক্ষনিক স্থানীয় লোকজন মধ্যস্থতা করে নিস্পত্তি করে দেন। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বুধবার বিকেলে দু’ গ্রামের লোকজন মাইকে ঘোষনা দিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। খবর পেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট গোলাম মোস্তাফা মুন্না সহ সেনাবাহিনী ও পুলিশ বাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করেন। প্রায় ২ ঘন্টা পর সড়কে যান চলাচল স্বাভাবিক করা হয়। এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট গোলাম মোস্তাফা মুন্না জানান, পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।