সেলিম মাহবুব:
ছাতক সরকারি হাইস্কুলের দীর্ঘ ১৫ বছরের পরিত্যক্ত মজা পুকুর স্বেচ্ছায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। টানা ৪ দিন ধরে শতাধিক শিক্ষার্থী শ্রমের মাধ্যমে মজা পুকুরের কচুরি পানা পরিষ্কার করেছে। পুকুরটি কচুরিপানা মুক্ত করে দেয়ায় শহরবাসী তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রায় ১৫ বছরের ময়লা আবর্জনায় ভরপুর ছিলো এই পুকুর। পৌরসভা বা স্কুল কর্তৃপক্ষ এর পরিচ্ছন্নতায় কোন উদ্যোগ নেয় নি। ছাতক শহর পরিচ্ছন্ন করতে গিয়ে কোটা বিরোধী শিক্ষার্থীরা এ উদ্যোগ নিয়েছিলো। জানা যায়, শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কচুরিপানা ও ময়লা -আবর্জনায় পরিপূর্ণ পুকুরটি পরিবেশ বিনষ্টসহ আশ-পাশের বাসা বাড়িতে ছড়াচ্ছিলো রোগ জীবাণু। পাশের বাসাবাড়ি, মার্কেট ও দোকান-কোটার পরিবেশ বিনষ্ট হতে চলছিলো মজা পুকুরের আবর্জনায়। পুকুর পরিষ্কারের কাজে নিয়োজিত শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা দীর্ঘদিনের হাজা-মজা ও পরিবেশ বিনষ্টকারি পুকুরটি পরিষ্কারের কেউ কোন উদ্যেগ না নেয়ায় জনস্বাস্থ্য ও জনস্বার্থে নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে হাত দিয়েছেন পুকুরটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে। তারা পরিস্কারের কাজ সমাপ্ত ও করেছেন। এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মোস্তফা মুন্না সহ অন্যান্যরা। শিক্ষার্থীরা সকলকে অভিনন্দন জানান। ছাতক সরকারি হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আজাদ জানান, বিভিন্ন জটিলতার কারণে পুকুরটি সংস্কার করা সম্ভব হয়নি।তবে ছাত্ররা এ মহৎ কাজটি করায় তিনি তাদেরকে অভিনন্দন জানান। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবুল কাশেম, ছাতক সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন, রুপেজ আহমদ, নাহিদ ইসলাম, ইশতিয়াক আম্বিয়া রায়হান, মাহদি, অভি, সৌরভ, রাজু, লাহিন, তামিম, ছামাদ, ছাতক সরকারি হাই স্কুলের জয়, আরিয়ান, জিসান, পেপার মিল হাইস্কুলের শুভ্র, অমিতসহ শতাধিক শিক্ষার্থী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে অংশ নিয়েছে এবং সহযোগিতা করছেন। শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন জানান, পুকুর পরিষ্কারের পাশাপাশি শহরের রাস্তা ঘাটের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও শহরের বিভিন্ন পয়েন্টের ট্রাফিকের দায়িত্বও পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের তারণ্যদীপ্ত কার্যক্রমে অভিভূত সাধারণ মানুষ। অনেকের অভিমত, সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনে ছাত্র সমাজকেই এগিয়ে আসা উচিত।##ছাতক সরকারি হাইস্কুলের পরিত্যক্ত মজা পুকুর
স্বেচ্ছায় পরিষ্কার করলো বৈষম্য বিরোধী শিক্ষার্থীরা
সেলিম মাহবুব,সিলেট:
ছাতক সরকারি হাইস্কুলের দীর্ঘ ১৫ বছরের পরিত্যক্ত মজা পুকুর স্বেচ্ছায় পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন করেছে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা। টানা ৪ দিন ধরে শতাধিক শিক্ষার্থী শ্রমের মাধ্যমে মজা পুকুরের কচুরি পানা পরিষ্কার করেছে। পুকুরটি কচুরিপানা মুক্ত করে দেয়ায় শহরবাসী তাদের অভিনন্দন জানিয়েছেন।
প্রায় ১৫ বছরের ময়লা আবর্জনায় ভরপুর ছিলো এই পুকুর। পৌরসভা বা স্কুল কর্তৃপক্ষ এর পরিচ্ছন্নতায় কোন উদ্যোগ নেয় নি। ছাতক শহর পরিচ্ছন্ন করতে গিয়ে কোটা বিরোধী শিক্ষার্থীরা এ উদ্যোগ নিয়েছিলো। জানা যায়, শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত কচুরিপানা ও ময়লা -আবর্জনায় পরিপূর্ণ পুকুরটি পরিবেশ বিনষ্টসহ আশ-পাশের বাসা বাড়িতে ছড়াচ্ছিলো রোগ জীবাণু। পাশের বাসাবাড়ি, মার্কেট ও দোকান-কোটার পরিবেশ বিনষ্ট হতে চলছিলো মজা পুকুরের আবর্জনায়। পুকুর পরিষ্কারের কাজে নিয়োজিত শিক্ষার্থীরা জানায়, তারা দীর্ঘদিনের হাজা-মজা ও পরিবেশ বিনষ্টকারি পুকুরটি পরিষ্কারের কেউ কোন উদ্যেগ না নেয়ায় জনস্বাস্থ্য ও জনস্বার্থে নিজেরাই স্বেচ্ছাশ্রমের মাধ্যমে হাত দিয়েছেন পুকুরটি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজে। তারা পরিস্কারের কাজ সমাপ্ত ও করেছেন। এ ব্যাপারে সহযোগিতা করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার গোলাম মোস্তফা মুন্না সহ অন্যান্যরা। শিক্ষার্থীরা সকলকে অভিনন্দন জানান। ছাতক সরকারি হাইস্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাহাঙ্গীর আজাদ জানান, বিভিন্ন জটিলতার কারণে পুকুরটি সংস্কার করা সম্ভব হয়নি।তবে ছাত্ররা এ মহৎ কাজটি করায় তিনি তাদেরকে অভিনন্দন জানান। ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আবুল কাশেম, ছাতক সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন, রুপেজ আহমদ, নাহিদ ইসলাম, ইশতিয়াক আম্বিয়া রায়হান, মাহদি, অভি, সৌরভ, রাজু, লাহিন, তামিম, ছামাদ, ছাতক সরকারি হাই স্কুলের জয়, আরিয়ান, জিসান, পেপার মিল হাইস্কুলের শুভ্র, অমিতসহ শতাধিক শিক্ষার্থী পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতার কাজে অংশ নিয়েছে এবং সহযোগিতা করছেন। শিক্ষার্থী সাইফুদ্দিন জানান, পুকুর পরিষ্কারের পাশাপাশি শহরের রাস্তা ঘাটের ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও শহরের বিভিন্ন পয়েন্টের ট্রাফিকের দায়িত্বও পালন করছেন শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের তারণ্যদীপ্ত কার্যক্রমে অভিভূত সাধারণ মানুষ। অনেকের অভিমত, সুখী সমৃদ্ধশালী বাংলাদেশ গঠনে ছাত্র সমাজকেই এগিয়ে আসা উচিত।##