সাদেকুল ইসলাম সুবেল,
বিরল দিনাজপুর প্রতিনিধি।
দিনাজপুর জেলা শহরের প্রাণকেন্দ্র রামনগর এলাকায় একজন ব্যবসায়ী’র বাড়ি-ঘর সন্ত্রাসী কায়দায় জবরদখলের অভিযোগ উঠেছে। এ ব্যাপারে দিনাজপুর কোতয়ালী থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী নুর নবিন রবিন নামের ওই ব্যবসায়ী। অভিযোগ সূত্রে জানা গেছে, গেল ০৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের গণ অভ্যুন্থান এরপর দেশের রাজনৈতিক, প্রসাশনিক পট পরিবর্তনের পর কিছু সুযোগ সন্ধানী চক্র এবং সন্ত্রাসী’রা নুর নবিন রবিনের ক্রয়কৃত নিজস্ব মালিকানাধীন সম্পত্তি বসতবাড়ী যাহার দলিল নম্বর-৮১১৮, নামজারী নম্বর-৪৭৩৩, দাগ নম্বর-২১২০ হোল্ডিং ট্যাক্স নম্বর-২৭০৮, বৈদ্যুতিক মিটার নম্বর-৬১১৮৮৮ (সিঙ্গেল ফেইস), সরকারী ট্যাক্স ফাইল নম্বর-৩৪৬/৩ এবং চৌহদ্দিতে স্পষ্ট উল্লেখিত বিবরণ অনুযায়ী সামনের দিকে ০৩ (তিন) শতক যাহা রেকর্ডীয় রাস্তা সংলগ্ন উত্তর-দক্ষিণে লম্বা যেখানে নির্মাণকৃত ৩টি পাকা টিনসেট ঘর’সহ টয়লেট, কলপাড় ও ১টি রান্নাঘর আছে। ওই বাড়িটি রবিন চুক্তি ভিত্তিতে মাসিক ভাড়া হিসেবে ভাড়াটিয়ার হাতে চাবি হস্তান্তর করেন। এরপর থেকে প্রায় ১৪ মাস যাবৎ কোনপ্রকার বাধা বিঘ্ন ছাড়া ভাড়াটিয়ারা বসবাস করে আসতেছিল।
কিন্তু গেল ০৫ আগস্ট ২০২৪ তারিখে প্রসাশন শূণ্য ও দেশের অস্বাভাবিক পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে রামনগর সূর্যশিখা অফিস এলাকার আনসার কসাইয়ের পুত্র চিহ্নিত সন্ত্রাসী মো. নুরুল ইসলাম, আব্দুল কাদেরের পুত্র ওয়াহেদ সাদিক তুহিন, ওমর ফারুকের পুত্র সাইমন, আনসার কসাইয়ের কন্যা নাছিমা আক্তার’সহ অজ্ঞাতনামা আরও ৩০-৪০ জন সন্ত্রাসী হেলমেট, মাস্ক, দেশীয় অস্ত্র এবং রিভালবার’সহ নুর ইসলাম ও তুহিনের নেতৃত্বে রাত আনুমানিক সাড়ে ৮টার সময় বাড়িতে হামলা করে ভাড়াটিয়াদের ভয়ভীতি প্রদর্শন করে বাড়ি খালি করতে বলে। যদি বাড়ি খালি না করে দেয় তাহলে অস্ত্র ও পিস্তল দেখাইয়া হত্যা করিবার হুমকি প্রদান করে। অতঃপর পরের দিন ০৬ আগস্ট ২০২৪ তারিখে সকাল আনুমানিক ৮টার সময় প্রাণনাশের হুমকি দিয়া ভাড়াটিয়াকে বাসা ছাড়তে বাধ্য করে। এ ব্যাপারে কেউ মুখ খুললে আশপাশের এলাকা বাসিকেও হুমকি প্রদান করে নুর ইসলাম ও তুহিন বাহিনী। সেদিন থেকে অদ্যবধি বাড়িটি জবরদখল নিয়ে রেখেছেন সন্ত্রাসীরা। সন্ত্রাসীদের মূলহোতা নুরুল ইসলাম নিজেকে সাবেক এলজিইডি প্রতিমন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেনের ঘনিষ্ট সহযোগী এবং ফরিদপুর জেলার শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন বরকত ও ইমতিয়াজ হোসেন রুবেলের ঘনিষ্ট আপনজন পরিচয় দিয়া এলাকায় চাঁদাবাজি, জবরদখল’সহ নানারকম সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড পরিচালনা করিয়া আসিতেছিলো যা এখনো চলমান। নুর ইসলামের আরেক সহযোগী ওয়াহেদ সাদিক তুহিন বাড়ি জবরদখল করার সময় নিজেকে দিনাজপুর জেলা শহর যুবদলের যুগ্ম-আহবায়ক পরিচয় প্রদান করে এবং বর্তমানে কেউ এ কাজে বাধা প্রদান করিবার ক্ষমতা রাখে না বলে হুমকি প্রদান করেন। দ্রুত সন্ত্রাসী নুরুল ইসলাম এবং ওয়াহেদ সাদিক তুহিন এর বিপক্ষে সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে অভিযুক্তগণের বিপক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে নিজের ক্রয়কৃত সম্পত্তি’র মধ্যে অবস্থিত বাড়িটি পুনরায় ফিরে পেতে প্রসাশনের কাছে সহযোগিতা কামনা করেছেন ভুক্তভোগী নুর নবিন রবিন। গোপন সূত্রে জানা যায়, নুর ইসলামের বড় বোন নাসিমা আক্তার নুর নবীন এর নামেই উল্টো অভিযোগ থানায় জমা দিয়ে রেখেছে, দখলকারীরা কি প্রশাসনের উর্ধ্বে, কি এমন তাদের শক্তি, এই দখলদারের সাথে কারা কারা জড়িত, বা বিএনপির নাম ভাঙ্গয়ে কে এগুলো কাজ করতেছে তা সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে অপরাধীদের আইনের আওতায় আনা হোক।