October 12, 2024, 10:53 pm
শিরোনাম :
ছাতকে নামাজি শিশুদের  মধ্যে বাইসাইকেল বিতরণ করলেন লতিফিয়া স্টুডেন্ট ও যুব ফোরাম বিশ্ব নবীকে নিয়ে কটুক্তি। মধুপুরে পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য স্বপন ফকির মেহেরপুরে পরিবেশক ঐক্যের বনভোজন অনুষ্ঠিত রাজশাহীর বাঘায় পূজা মন্ডপ পরিদর্শন করেছেন শিক্ষা মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব শ্রী রথীন্দ্রনাথ দত্ত।  নড়াইল পহরডাঙ্গা বিএনপি মতবিনিময় সভা লোহাগড়া থানা কর্তৃক ১৩ (তের) জন আসামি গ্রেফতার শ্রীমঙ্গলে মহা অষ্ঠমীতে কুমারী পূজা, হাজারো দর্শণার্থীর ভিড় মৌলভীবাজারের সাতটি উপজেলায় এক হাজার তিনটি পূজামন্ডপে মহা সপ্তমী পূজা পালন হচ্ছে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো।রহিম বাদশার।দুর্গাপূজার উপহার সামগ্রী বিতরণ।

নওগাঁর মহাদেবপুরে সাংবাদিকদের সঙ্গে ইউএনও,ওসির মতবিনিময়

কাজী সামছুজ্জোহা মিলন মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি;

২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৪ নওগাঁর মহাদেবপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের সঙ্গে নবাগত উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো: আরিফুজ্জামান ও মহাদেবপুর থানার নবাগত অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো: হাশমত আলী পৃথক পৃথক মতবিনিময় করেছেন। সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৩টায় ওসি মহাদেবপুর থানা ভবনে আর গত বৃহস্পতিবার দুপুর ১ টায় ইউএনও তার সভাকক্ষ শাপলায় মতবিনিময়ের আয়োজন করে। মতবিনিময় সভায় ওসি হাশমত আলী জানান, গত ১৫ সেপ্টেম্বর তিনি মহাদেবপুরে যোগদান করেন। এরআগে নওগাঁয় জেলা ডিবি পুলিশের ওসি হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ২০০৫ সালে তিনি রাজশাহীর সারদায় পুলিশ ট্রেনিং একাডেমিতে যোগদান করে সাফল্যের সাথে ট্রেনিং সম্পন্ন করেন। এরপর সিরাজগঞ্জে শিক্ষানবীশ সাব ইন্সপেক্টর (এসআই) পদে যোগ দেন। সেখান থেকে বিভিন্ন সময় একই পদে ঠাকুরগাঁও, পীরগঞ্জ, হরিপুর এবং ইন্সপেক্টর (তদন্ত) পদে রাজশাহীর পবা, গোদাগাড়ী, পুঠিয়া প্রভৃতি থানায় দায়িত্ব পালন করেন। দুর্গাপুর থানায় তিনি অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এর দায়িত্ব পালন করেন। ২০২২ সালের আগষ্টে তিনি নওগাঁয় জেলা ডিবি পুলিশের ওসি পদে যোগ দেন। তিনি দেশের পরিবর্তীত পরিস্থিতিতে এলাকার আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নয়নে সর্বোচ্চ শ্রম দিবেন বলে জানান। অপর মতবিনিময় সভায় ইউএনও মো: আরিফুজ্জামান জানান, গত ১৭ সেপ্টেম্বর তিনি মহাদেবপুর উপজেলায় যোগদান করেন। এরআগে তিনি সাতক্ষিরা জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টরেট আরডিসি পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি ৩৪ তম বিসিএস ক্যাডার। তাঁর দেশের বাড়ি ঠাকুরগাঁও জেলায়। ইউএনও বলেন, ‘গণমাধ্যম হলো রাষ্ট্রের দর্পণ। দর্পণের সামনে আমি যেভাবে দাঁড়াবো, সেভাবেই আমাকে দেখা যাবে। সুতরাং যে যেরকম, সংবাদপত্রে তাকে যেন সেরকম ভাবেই প্রকাশ করা হয়। আমি নিজেও যদি কোন অন্যায় করি তাহলেও আপনারা নির্ভয়ে সেটা লেখবেন। ‘ ইউএনও মো: আরিফুজ্জামান আরো বলেন, ‘বৈষম্যবিরোধী ছাত্র জনতার আন্দোলনের মধ্য দিয়ে এই সরকার গঠিত হয়েছে। এরা রাষ্ট্রের প্রতিটি ক্ষেত্রে সংস্কার করছেন। আপনারাও আপনাদের লেখনির মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কার করবেন। আপনারা যে কোন সময় যে কোন বিষয়ে আমার কাছে বলবেন। আমি অবশ্যই আপনাদেরকে সহযোগীতা করবো।’ তিনি বলেন, ‘কলেজে পড়ার সময় আমরা একটি বিষয়ে আন্দোলন করেছিলেন। কয়েকজন সাংবাদিক সেখানে উপস্থিত ছিলেন। পরদিন খবরের কাগজে ছাপা হলো আমরা নাকি গাড়ি ভাংচুর করেছি। কিন্তু সেরকম কোন ঘটনাই আমরা ঘটাইনি। এরকম ভূল সংবাদ লেখা সম্পর্কে সচেতন থাকতে হবে।’ ইউএনও বলেন, ‘বিভিন্ন ক্ষেত্রে আমি আপনাদের পরামর্শ চাই। আমারও ভূল হতে পারে। সেটা আমাকে ধরিয়ে দিলে সংশোধন করতে পারবো। আমার উপজেলা পরিষদের কেউ অন্যায় করলে আমাকে জানাবেন। আমি সমাধান করে দিবো। যদি সমাধান না হয়, তখন অবশ্যই লিখবেন। কোন কোন ঘটনা না লিখেও সমাধান করা যায়। আর কোনক্রমেই যেন কারো বিরুদ্ধে ভূল কিছু লেখা না হয়। কোন অনিয়মের খবর পেলে তা ভালো করে যাচাই করে লিখবেন। আপনারা নিশ্চিত থাকতে পারেন আমার পক্ষ থেকে কখনো কোন অন্যায়কে প্রশ্রয় দেয়া হবেনা। যেখানে যা কিছু ঘটছে, আপনারা আমাকে বিভিন্নভাবে তথ্য দিয়ে সহযোগীতা করবেন। আমি সবার সহযোগীতা কামনা করছি। এখানকার পরিবেশ যেন ভালো থাকে, আইন-শৃঙ্খলা যাতে ভালো থাকে, সেব্যাপারে আমাকে সর্বতো সহযোগীতা করবেন।’ সিনিয়র সাংবাদিক কাজী সাঈদ টিটো এসময় তিনটি সুপারিশমালা পেশ করেন। এক. পেশাদার সাংবাদিকদের সহযোগীতা করতে হবে। যারা খবর না লিখেই নিজেদের সাংবাদিক দাবি করেন তাদেরকে সহযোগীতা করা যাবেনা। দুই. গত ১৬ বছর সেসব সাংবাদিক বঞ্চিত থেকেছেন, তাদেরকে সহযোগীতা করতে হবে। যারা সুবিধা পেয়েছে, তাদেরকে কম সুবিধা দিতে হবে এবং তিন. ছাত্র জনতার আন্দোলনে যেসব সাংবাদিক বিভিন্নভাবে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে, বাধা দিয়েছে, তারা যেন কোন সহযোগীতা না পায়, আর যেসব সাংবাদিক আন্দোলনে সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন, পালিয়ে থেকেছেন, মামলা, হামলার শিকার হয়েছেন, জেল খেটেছেন তারা যেন সব রকম সুবিধা পান। এসময় সাংবাদিক ইউসুফ আলী সুমন দাবি করেন যে, ফ্যাসিবাদের যারা দোসর আছে এদের কঠোর হাতে প্রতিরোধ করতে হবে। ইউএনও প্রমাণসহ সেসব সাংবাদিকের তালিকা তার কাছে দিতে বলেন। তিনি অবশ্যই এই তিনটি সুপারিশ বাস্তবায়ন করবেন বলে আশ্বাস দেন। অন্যদের মধ্যে সিনিয়র সাংবাদিক কাজী সাঈদ টিটো, কাজী সামছুজ্জোহা মিলন, কাজী রওশন জাহান, ইউসুফ আলী সুমন, সোহেল রানা, হাজী সাইফুর রহমান সনি, লিয়াকত আলী বাবলু, সাজ্জাদ হোসেন, অহিদুল ইসলাম, আজাদুল ইসলাম, এস, এম, আজাদ হোসেন মুরাদ, মিজানুর রহমান মানিক, মাহবুব আলী, রশিদুল ইসলাম রশিদ, সুইট হোসেন, আককাস আলী, বরুণ মজুমদার, আমিনুর রহমান খোকন, খোরশেদ আলম, গোলাম রসুল বাবু, সাখাওয়াত হোসেন, সুমন কুমার বুলেট, অসিত দাস, মো: আব্দুলস্নাহ, রফিকুল ইসলাম, রুবেল হোসেন, এবি সিদ্দিক, আইনুল হোসেন, মোখলেছুর রহমান, আব্দুল আজিজ, ওয়াসিম আলী, সুজন, এস, এম, শামীম হাসান, চন্দন কুমার, উজ্জল হোসেন প্রমুখ এতে অংশ নেন।###


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা