কাজী সামছুজ্জোহা মিলন
মহাদেবপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
২৮ মে ২০২৪
নওগাঁর মহাদেবপুরে একটি স্কুলের ঘর নির্মাণে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ করা হয়েছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি জানলেও ইটগুলো পরিবর্তনের ব্যবস্থা নেননি। উপজেলার এনায়েতপুর ইউনিয়নের কালুশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের এই ঘরটি নির্মাণের প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করছে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের ফ্যাসিলিটিজ ডিপার্টমেন্ট। একটি ঘর নির্মাণে এখানে বরাদ্দ করা হয়েছে ১৯ লাখ টাকা।
স্থানীয়দের অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার (২৭ মে) বিকেলে সরেজমিনে সেখানে গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মূল ভবন সম্প্রসারিত করে নতুন আর একটি ঘর নির্মাণ করা হচ্ছে। স্কুল কর্তৃপক্ষের কেউ সেখানে আছেন কিনা খোঁজ করে পাওয়া গেলে ওই বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সদস্য মাসুদ রানাকে। তিনি জানালেন, তিন সপ্তাহ আগে প্রকল্পের কাজ শুরু করার সময় স্কুল এলাকায় নিম্নমানের ইট এনে জমা করা হয়। এগুলো ১নং ইট নয় এটা স্কুলের হেড মাস্টারকে জানালে তিনি জানান ইটগুলো পরিবর্তন করানো হবে। কিন্তু সেগুলো দিয়েই এখনও কাজ করানো হচ্ছে। চারিদিকে এই নিম্নমানের ইটের গাঁথনি দিয়ে এখন সেই ইটের খোয়া দিয়ে লিন্টেল ঢালাই দেয়া হচ্ছে।
প্রকল্প তদারকি করছিলেন আজাদুল ইসলাম চপল নামের একজন মিস্ত্রি। তিনি জানালেন, নওগাঁর দেওয়ান লিটন ট্রেডার্স প্রকল্পটির টেন্ডার পেয়েছেন। প্রকল্পের কাজ সম্পন্ন করার জন্য তিনি ঠিকাদারের কাছ থেকে দুই লাখ টাকায় সাব-কন্ট্রাক্ট নিয়েছেন। ইটের ভাঁটায় ১নং ইটের অর্ডার দেয়া হয়েছে। কিন্তু সেখান থেকে ২নং ইট সরবরাহ করা হয়েছে। সেই ইট দিয়ে সামান্য কাজ করার পর ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরা প্রতিবাদ করলে সেসব ইট আর ব্যবহার করা হয়নি। এখন ১নং ইটই ব্যবহার করা হচ্ছে। এখন স্কুল ক্যাম্পাসে দুই হাজার ২নং ইট রয়েছে। সেগুলো দোতালায় ব্যবহার করা হবে বলেও তিনি জানান। এখানে ছয় হাজার ইটের খোয়া রয়েছে। সেগুলো ১নং ইটের বলে তিনি দাবি করেন। তবে স্থানীয়রা জানান, খোয়াগুলো আরও নিম্নমানের ইটের। এগুলো হাত দিয়েই ভাঙ্গা যায়।
জানতে চাইলে মোবাইলফোনে শিক্ষা প্রকৌশল অদিদপ্তর নওগাঁর মহাদেবপুর এলাকার উপ-সহকারি প্রকৌশলী আসলাম মিয়া জানান, এটি একটি মেরামতের প্রকল্প। এখানে নিম্নমানের ইট ব্যবহারের অভিযোগ পাওয়ার পর সেগুলো ব্যবহার না করার নির্দেশ দেয়া হয়েছে। প্রকল্প এলাকা থেকে সেগুলো সরানো না হলে তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও তিনি জানান।###