আইনের শাসন বাস্তবায়নের জন্য বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতি পৃথক ও পূর্নাঙ্গ বিচার মন্ত্রণালয় দাবী করেছেন ও প্রয়োজনীয়তার কথা ব্যক্ত করেছেন। বাংলাদেশে পৃথক পৃথক আইন মন্ত্রনালয়, বিচার মন্ত্রনালয়, সংসদ মন্ত্রনালয় ও সংবিধান মন্ত্রনালয় প্রয়োজন। চমৎকার প্রস্তাব এই যে, বাংলাদেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠায় বিচার বিভাগের পৃথক সচিবালয় দরকার; বলেছেন বাংলাদেশেব প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। খবরটি গত ২১শে সেপ্টেম্বর ২০২৪ ইং তারিখে দেশি-বিদেশি নামীদামি অসংখ্য অনলাইন ডেস্ক থেকে বিভিন্ন শিরোনামে প্রকাশিত হলেও খবরের বিষয়টি সারা দুনিয়ার সকল দেশের সকল মানুষের প্রয়োজনের মত– ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার শশীভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের দুই নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মোঃ আবুল কাশেম (এন:আই:ডি: নং- চার ববর্বুদ ছয় অবর্বুদ এক কোঠি তের লক্ষ এক চল্লিশ হাজার নয় শত সাতাত্তর/৪৬১১৩৪১৯৭৭, মোবাইল নং ০১৭৩৮৯৮৭১০১, পেশা- এমবিবিএস ছাত্র, সাংবাদিকতা ও অন্যান্য) এরও প্রয়োজন। বিচার বিভাগের শায়ত্ব শাসনের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেছেন, বিচার বিভাগ পৃথক হলেও বিচার বিভাগে চলছে দ্বৈত শাসন। এ কারণে বিচারকরা স্বাধীনভাবে কাজ করতে পারছে না। বিচার বিভাগ পৃথক সচিবালয়ে না হলে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা সম্ভব নয়। গত শনিবার সকাল ১০ টায় বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের ইনার গার্ডেনে প্রায় দুই হাজার বিচারকের উপস্থিতিতে নিজের অভিভাষণ অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘বিচারকদের বদলি এবং যোগ্যতার ভিত্তিতে পদায়নের নীতিমালা করা হবে। এখনই সময় পৃথক সচিবালয়ে গঠনের। না হয়, মানুষ বিচার বিভাগের সুফল পাবে না। প্রধান বিচারপতি বলেন, পৃথকভাবে সচিবালয় তৈরি করে বিচার বিভাগের জন্য পৃথক বাজেট তৈরি করতে হবে। অন্য সার্ভিসের সঙ্গে বিচার বিভাগের বেতন, সুযোগ-সুবিধায় যে বৈষম্য রয়েছে, তা নিরসন করতে হবে। বিচার বিভাগে কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগে স্বচ্ছতার জন্য কমিশন নিয়োগ করতে হবে। প্রধান বিচারপতি আরও বলেন, ‘বিচার বিভাগে দুর্নীতিকে জিরো টলারেন্স ঘোষণা করেছি। জেলা জজ ও বিচারকদের দুর্নীতি দমনে ব্যর্থ হলে এটি তার সার্ভিসে ব্যর্থতা হিসেবে গণ্য করা হবে। কারণ বিচার বিভাগে কারও কোন ব্যক্তির দুর্নীতি পুরো বিচার বিভাগের দুর্নাম হিসেবে কাজ করে। এ ছাড়া সুপ্রিম কোর্টে বিভিন্ন শাখায় দুর্নীতি-অনিয়ম ছেয়ে গেছে৷ এটি এখন আর বরদাশত করা হবে না।’ প্রধান বিচারপতি বলেন, ‘আমাদেরকে কঠিন সময়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। আমাদের বিদ্যমান বিচার বিভাগের স্বচ্ছতার জন্য মাসদার হোসেন মামলার রায় বাস্তবায়ন করতে হবে। মাঠ পর্যায়ে বিচারকদের বাসস্থান, এজলাস নির্মাণ ও গাড়ি জরুরি হয়ে পড়েছে।’ সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, ‘৪২ লাখ মামলার জট রয়েছে। মুদ্রার ওই পিঠে রয়েছে বিচারক সংকট। মাত্র দুই হাজার বিচারক দিয়ে এটি সম্ভব নয়। দক্ষ জনবল নিয়োগ জরুরি।’ অনুষ্ঠানে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিটির প্রধান বিচারপতি শাহ আবু নাঈম মমিনুর রহমান, অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান, আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিরা উপস্থিত ছিলেন। বিচার বিভাগীয় সচিবালয় না থাকায় দেশে বিচারের আইনী রায় কার্যকর করার দায়িত্বশীল প্রশাসন নাই। অনেক আইনী বিষয় বিচারের নিকট পৌছতে পারে না, অনেক আইনী বিষয় বিচারের নিকট পৌছতে পারলেও রায় পর্যন্ত পৌছতে পারে না। অনেক আইনী বিষয় বিচারের নিকট পৌছা শুরু করলেও স্থানীয় ভূয়া ও বেআইনী আচার বিচারকারীদের খপ্পরে আটকা পরে। আবার অনেক বিচারিক বিষয় হতেও অবৈধ আয় করার জন্য অনেক আইনী বিষয়কে আইনী লাইনচ্যূত করে আইনের শাসন বাস্তবায়নে বাধা তৈরি করা হয়। আবার আইনের শাসন বঞ্চিত করার জন্য মুসলীম ধর্মালয়ে আযান দিয়ে, হিন্দু ধর্মালয়ে লুলু-উলু, বৌদ্ধ ধর্মালয়ে ধূপ জ্বালিয়ে, প্যাগোডায় আতশবাজি করেই এক শ্রেণির লোক দেশের চলমান আইনকে অমান্য করার জন্য বলে থাকে যে, মানব রচিত আইন মানব না। তাই এই জাতীয় সকল পাপ পঙ্কিলতা দূর করার জন্য আইনের শাসন ও উহার সকল ঢাল-পালা-শাখা-প্রশাখা রক্ষার জন্য দেশের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকের আদলে বাংলাদেশে একটি পূর্নাঙ্গ আইন মন্ত্রণালয়, একটি পূর্নাঙ্গ বিচার মন্ত্রণালয়, একটি পূর্নাঙ্গ সংসদ মন্ত্রণালয় ও একটি পূর্নাঙ্গ সংবিধান মন্ত্রণালয় সক্রিয়, কার্যকর ও স্থাপন করার প্রয়োজন আছে। যা বর্তমানে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি তাঁর পেশাগত জীবনে এসে বিষয়ের সরজীবনে উপস্থিত হতে পারার কারনে– অত্যন্ত সঠিক মতে প্রকাশ করেছেন যে, বাংলাদেশে আলাদা বিচার মন্ত্রনালয় প্রয়োজন। তাই বাংলাদেশের সংবিধানের ও আইনের হাতকে শক্তিশালী করার জন্য দেশের আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রকের আদলে বাংলাদেশে একটি পূর্নাঙ্গ আইন মন্ত্রণালয়, একটি পূর্নাঙ্গ বিচার মন্ত্রণালয়, একটি পূর্নাঙ্গ সংসদ মন্ত্রণালয় ও একটি পূর্নাঙ্গ সংবিধান মন্ত্রণালয় কার্যকর ও স্থাপন করার প্রয়োজন আছে। যা সঠিকভাবে না বোঝার কারনে অনেকে দেশি-বিদেশি ডক্টরাল ডিগ্রিধারী হয়ে মনে মনে ডজনাধিক কল্পিত নোবেল পুরষ্কার প্রাপক / প্রার্থী বা প্রাপক প্রার্থী হওয়া সত্ত্বেও বিভিন্ন বিষয়ের মত– ঐ সকল বিষয়ে কমিশন গঠনের কথা বলে সমস্যার সমাধান খুঁজে পেতে চান। কারণ শুদ্ধ সাচিবিক রাষ্ট্রত্বের অভাবেও বাংলাদেশে পৃথক পৃথক আইন মন্ত্রণালয়, বিচার মন্ত্রণালয়, সংসদ মন্ত্রণালয় ও সংবিধান মন্ত্রণালয় স্থাপিত হয় নাই। যেই অপূর্ণতা বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির পৃথক বিচার মন্ত্রণালয় দাবীর মধ্যে অর্ন্তনিহিত রয়েছে। বাংলাদেশে পৃথক পৃথল আইন, বিচার, সংসদ ও সংবিধান মন্ত্রণালয় না থাকায় দেখা যায় যে, ভোলা জেলার চরফ্যাসন উপজেলার শশিভূষণ থানার এওয়াজপুর ইউনিয়নের এক নং ওয়ার্ডের বশির লাঠিয়ালও বেবুঝ লোকের ইংরেজি (“ডু ইউর নীচের স্টাডিং লও ইউর মডারেটিং ডাটিং কাটিং ইটিং”) বা আবোল তাবোল মিলিয়ে নিজেকে একজন ইংরেজি বক্তা প্রকাশ করার মত, এক নং ওয়ার্ডের চিডু মাঝির ছেলে ঢালচর মন্ত্রণালয়ের ডাক্তার, দুই নং ওয়ার্ডের রশিদ মেস্তরির নুন আনতে পান্তা ফুরানো ছেলে মান্নান তার স্ত্রীকে সচিবের মেয়ে, দুই নং ওয়ার্ডের ইরি খেতের ম্যনেজার ছয় নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মান্নান সন্ত্রাসী নিজেকে আইন মন্ত্রণালয়ের বিচারক, দুই নং ওয়ার্ডের আবুতাহের পাতিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য, মালেক বেপারীর ছেলে সিরাজ দোকানদার ভূমিসহ সব মন্ত্রণালয়ের সচিব (চেম্বারঃ অন্ধকার রাত্রে টাস-জুয়া-গাঁজার আসরে), অজিউল্যা বাঘা আদালতের সরকারি অফিসার, মুজাহারের ছেলে সব বোর্ডের সব সাবজেক্টস এর হেড এক্সামিনার ও মৃত: সৈয়দ আহম্মেদের পুত্র নূরনবী স্ব-রাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের চকিদার, মৃত মাহমুদের লোকমান বহু দূতাবাসের দোভাষী দাবী করে দেশে-সমাজে যা খুশি তা বলে চলে ( জীবন-যাপন) করে। ছবিতে – বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের প্রধান বিচারপতি।