সাদেকুল ইসলাম বিরল(উপজেলা)প্রতিনিধি:
বিরল উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় শতাধিক মানুষের কাছে ঋণ দেয়ার প্রলোভন দেখিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিয়ে উধাও সেফ এনজিও নামের কথিত এক প্রতিষ্ঠানের সকলে।
জানাগেছে কিছুদিন আগে বিরল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের বিপরীতে অবসরপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক একরামুল ইসলামের বাসার নিচতলা অফিসরুম হিসেবে ভাড়া নিয়ে গেটে বাহিরে মোট ৩টি সাইনবোর্ড ঝুলিয়ে দিয়ে উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে ১লক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ৩ লক্ষ টাকা ঋণ দেওয়ার কথা বলে উপজেলার প্রায় শতাধিক গ্রাহকের কাছে ঋণের সঞ্চয় বাবদ ১৫ থেকে ৩০ হাজার টাকা করে নিয়েছে। ১২ ডিসেম্বর বৃহস্পতিবার ঋণ দেয়া হবে বলে জানানো হয়েছে সকলকে।
একাধিক গ্রাহক (১১ ডিসেম্বর) বুধবার সকাল থেকে কথিত সেফ এনজিও সকলের ফোন নাম্বার বন্ধ দেখালে সকাল থেকে অফিসের সামনে এসে জড়ো হতে শুরু করে ভুক্তভোগীরা। তাদের টাকা নিয়ে লাপাত্তা কথিত এনজিও কর্মীরা জানতে পেরে কান্না ও আহাজারি করতে দেখা যায় অনেক ভুক্তভোগীকে।
উপজেলার শহরগ্রাম ইউনিয়নের আকরগ্রামের ভুক্তভোগী আঞ্জুমান আরা জানান গত ৬ ডিসেম্বর আমার বাসার সামনে ৩ জন গিয়ে বলেন আমরা সেফ এনজিও নামে বিরলে একটা নতুন সংস্থার শাখা খুলেছি প্রথম পর্যায়ে ১ লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ঋণ দিবো বললে আমি আশেপাশের মহিলাদের ডাকি পরে তারা ভর্তি ফি, ডিপিএস সহ মোট ১১৫০ টাকা করে মোট ১০ জনের কাছে টাকা নিয়ে ফরম পূরণ করে। তাদের কথা বার্তায় আমার মনে সন্ধেহ মনে হলে আমি বিরল বাজার বকুল তোলা মোড়ে আয়াত মেডিক্যাল স্টোর এর সত্যাধিকারী আবু কাওসার কে ফোন দিলে তিনি বলেন সমস্যা নাই তারা আমাদের বাসায় ভাড়া আছে ঋণ নিলে টাকা দেন কোন সমস্যা হবেনা।
পরে এনজিওর লোক আমাদেরকে জানায় ১ লক্ষ টাকা ঋণ নিলে সঞ্চয় বাবদ ১০ হাজার টাকা করে দিতে পরে ১০ জনের ১০/১৫/ করে সর্বোচ্চ ৩০ হাজার টাকা পর্যন্ত আমরা তাদের দেই। এছাড়াও উপজেলার রানীপুকুর, সরত্তমপুর, কাজীপাড়া সহ বিভিন্ন এলাকার একাধিক ভুক্তভোগীরা জানান আমরা গরিব মানুষ আমরা বাড়ি মালিক একরামুল ভাইয়ের বাসায় তাদের অফিস এই ভরসায় তাদেরকে টাকা দিয়েছি। এবিষয়ে জানতে চাইলে জানতে চাইলে আয়াত মেডিক্যাল স্টোর এর সত্যাধিকারী আবু কাওসার জানান যে বাসায় এনজিও টি ভাড়া ছিলো সেটা আমার চাচার বাসা আমিও সে বাসায় থাকি।
ঋণ নেয়ার জন্য সঞ্চয় বাবদ টাকা দিতে অনেককে উৎসাহীত করার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন আমাকে অনেকে ফোন দিয়ে জানতে চেয়েছে এটা ঠিক তবে আমি কাউকে টাকা দিতে বলিনি। বিরল থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুস ছবুর জানান বুধবার সকালে কয়েকজন ভুক্তভোগী থানায় এসেছিলেন আমি তাদের আইনী পরামর্শ দিয়েছি।
এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্ত করে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। কথিত সেফ এনজিওর বাড়ির মালিক একরামুল ইসলাম জানান গত ১ ডিসেম্বর আমাদের এখানে তারা এসেছে। এখনো তাদের সাথে ডিট হয়নি। দুই এক দিনের মধ্যে তাদের হেড অফিস থেকে লোক আসলে তারা ডিট করবে বলেছিলো এরই মধ্যে সকাল থেকে দেখছি তারা অফিসে নাই । পরে আমার বাসার সামনে একে একে অনেক লোকজন আসলে তাদের মূখে জানতে পেরেছি তারা একাধিক জনের কাছে ঋণ দেয়ার প্রলোভন দিযে সঞ্চয় বাবদ টাকা নিয়েছে।
সম্পাদক: মো: আব্দুল আল্ রাকিব।
হেড অফিস:- জামনগর বাজার, বাগাতিপাড়া,নাটোর।
প্রকাশক:- মো: রাজিবুল ইসলাম বাবু,
মোবাইল নম্বর:-০১৩১০-৩২১ ৩০৬.
বার্তা সম্পাদক :- নিরেন দাস
০১৯১৭-২১১১১২
E-mail:- crimewatchbanglatv.com
E-mail :- razibulislam0121@gmail.com
আইন উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট মো: ময়নাল ইসলাম।
জজ কোর্ট নাটোর।
০১৭১৭-৬৭৬ ৯৭৬.
০১৩১২-৬৭৬ ৯৭৬.
বানিজ্যিক কার্যালয় গুলশান-১ ঢাকা।
crimewatch24banglatv