মেহেদী হাসান,জেলা প্রতিনিধিঃ
যশোরের শার্শার চালতিবাড়ীয়া আর ডি মাধ্যমিক বিদ্যালয়েরপ্ট সহকারী শিক্ষক আবুল কালামের বিরুদ্ধে প্রবাসীর স্ত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার দিবাগত রাতে উপজেলার চালতিবাড়ীয়া দীঘার আম বাগানে।
এঘটনায় এলাকা বাসীর মধ্যে চরম ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। লম্পট কালাম মাস্টারের বিরুদ্ধে আইন অনুযায়ী ব্যাবস্থা গ্রহণ করার এলাকাবাসী জোর দ্বাবী জানিয়েছেন।
জানা গেছে,যশোরের শার্শা উপজেলার মহিশা এলাকার এক প্রবাসীর স্ত্রী ঢাকা থেকে বাড়ী ফেরার জন্য বুধবার সন্ধ্যায় কলারোয়া উপজেলার চারা বটতলা নামক স্থানে পরিবহন থেকে নামে। নামার পরে সন্ধ্যা হয়ে যাওয়ায় তার শশুর বাড়ীতে মুঠোফোনে সংবাদ দেয় যে আমি চারা বট তলায় নেমেছি।
একই সময় কালাম মাস্টার মোটরসাইকেল যোগে মহিশা গ্রামের বাড়ী ফিরছিলো।এ সময় ভিকটিমকে নিয়ে মহিশা শশুর বাড়িতে পৌছে দেওয়ার উদ্দেশ্য রওয়ানা হয়। পথিমধ্যে দীঘা নামক স্থানে পৌছালে পাশে অবস্থিত আম বাগানে তাকে ছুরি দেখিয়ে সুযোগ বুঝে ধর্ষণ করে। এ ঘটনার জানাজানি হলে পরবর্তিতে গ্রাম্য সালিশের জন্য দুই ইউপি সদস্যের কাছে হস্তান্তর করেন। ভিকটিম ভয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারছে না। এক পর্যায়ে সে মিডিয়ার সামনে মুখ খুলে বিচারের দাবী জানান।
এ ব্যাপারে অভিযুক্ত শিক্ষক কালামের কাছে জানতে চাইলে তিনি অস্বীকার করে বলেন,এ রকম কোন ঘটনা ঘটেনি।তিনি ভিকটিম কে দুই ওয়ার্ডের ইউপি সদস্যের কাছে হস্তান্তর করেন বলে জানান।
ইউপি সদস্য আক্তারুল ইসলাম জানান,ঘটনা শুনেছি এবং গ্রাম্য সালিশের মাধ্যমে ১ লক্ষ ২০/৩০ হাজার মাধ্যমে বিষয়টি মিমাংসা করে দিয়েছি!
এ বিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার জানান, আমি অভিযোগ পেয়েছি তদন্ত-পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।
শার্শা থানা কর্মকর্তা মোঃ মনিরুজ্জামান জানান আমার কাছে এখনো কোন সুনির্দিষ্ট অভিযোগ আসে নাই আসলে তদন্ত-পূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করব।