মেহেদী হাসান,জেলা প্রতিনিধঃ
যশোরের শার্শায় ব্যাপক হারে বেড়েছে বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রব। প্রতিদিন এসব বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রবে দিশেহারা হয়ে পড়েছে সাধারণ মানুষ। ফলে রাস্তা ঘাটে মানুষ ভয়াভহ আতংকের মধ্য দিয়ে চলাচল করছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় একই অবস্থা বিরাজ করছে। সাধারণ মানুষের অভিযোগ দীর্ঘদিন সরকারী ভাবে বেওয়ারিশ কুকুর নিধনে কোন কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না থাকায় বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে। কুকুর নিধন না করায় শুধু শার্শা উপজেলা নয় দেশ জুড়ে অলি-গলিতে বেওয়ারিশ কুকুরে ভরে গেছে। বেওয়ারিশ কুকুরের উপদ্রবে রাস্তা ঘাটে চলাচল করতে হিমসিম খাচ্ছে পথচারী সাধারণ মানুষ। গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে এই উপজেলায় শিশুসহ প্রায় অর্ধশত মানুষের কামড় দিয়েছে বেওয়ারিশ পাগলা কুকুর। এখন এক প্রকার কুকুর আতংকে বিরাজ করছে এই উপজেলার মানুষের মনে।
আহতরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও অন্যান্য সেবালয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন। শার্শা উপজেলার
পুটখালী ইউনিয়নের বালুন্ডা গ্রামের ইমানুর রহমান(৩৫) পিতা ইদ্রিস আলী, মুনছুর আলী (৩৫) পিতা জমসের আলী, রাহুল (১৮) পিতা শহিদুরুজ্জামান ও বারোপতা গ্রামের আব্দুল মজিদ(৫৫) পিতা মৃত নজির আহমেদ,পারভীনা (৩৩) স্বামী মুকুল, বেনাপোল পৌরসভা সাদীপুর গ্রামের বৃষ্টি (১১) পিতা জাহিদুল ইসলাম,
নাভারণের বাসিন্দা শাকিরুল আলম বলেন, কুকুর নিধন করতে না পারলে এ বেওয়ারিশ কুকুরের সংখ্যা দিনে দিনে আরো বেড়ে যাবে। কুকুরের কামরে আক্রান্ত হবে অনেকেই, আহতদের সংখ্যা দীর্ঘ হবে। তাই কুকুর নিধন করা খুবই দরকার।
ইমানুর রহমান বলেন, আমরা রাতে পায়ে হেটে যেতে ভয় পাচ্ছি। এত পরিমাণে কুকুর যে, কোথা থেকে এসে আক্রমণ করবে তা বুঝার উপায় নাই। আমাদের এলাকায় ইতিমধ্যে কয়েকজনকে কামড়ে দিয়েছে। উপজেলায় প্রতিদিনই কোথাও না কোথাও এই বেওয়ারিশ পাগলা কুকুরের আক্রমণের কথা শোনা যাচ্ছে।
এব্যাপারে শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের
সহকারী মেডিকেল অফিসার রফিকুল ইসলাম
জানান, প্রতিদিন কুকুরে কামড়ানো আহত রোগী ভ্যাকসিনের জন্য আসছে। এর সংখ্যা
দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে কুকুরে কামড়ানো রোগীরকে আমরা ভ্যাকসিন ও চিকিৎসা দিয়ে যাচ্ছি।