খন্দকার ছদরুজ্জামান,
নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলার প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: লেলিন প্রধান সাংবাদিকদের তথ্য দেওয়ার কথা বলে ৪ মাস ঘুরিয়ে অবশেষে তথ্য দিতে অস্বকৃতি জানান লেলিন এর এই খুঁটির জোর কোথায় গত ১৬ এপ্রিল ২০২৪ তারিখে প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: লেলিন প্রধানের নিকট ২০২৩/২০২৪ অর্থ বছরের সরকারি বরাদ্দ ও তার অনুকুলে বাস্তবায়ন তালিকা চাইলে তিনি বলেন তথ্য অধিকার আইনে আবেদন করলে আপনাদের চাহিদা মোতাবেক তালিকা দেওয়া হবে।
সেই মোতাবেক গত ২৯ শে এপ্রিল তথ্য অধিকার আইনে তথ্য চেয়ে আবেদন ফরম জমা দেওয়া হয়, উল্লেখ্য যে ১৫ কার্য দিবসের মধ্যে সকল তথ্য প্রদানের অনুরোধ করা হয়,
১৫ কার্য দিবস পেরিয়ে গেলে সাংবাদিকরা তথ্য আনতে গেলে প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডা: লেলিন প্রধান সাংবাদিকদের খাম দিয়ে ম্যানেজ করেতে যায় তখন সাংবাদিকরা তার খামে ম্যানেজ না হওয়ায় তিনি কয়েকদিন পরে তথ্য দিবেন বলে আশ্বস্ত করেন। এভাবে ডাঃ লেলিন প্রধান সাংবাদিকদের তথ্য না দিয়ে দীর্ঘ ৪ মাস ছলচাতুরী করেন।
পরিশেষে গত ১ লা আগষ্ট তারিখে সাংবাদিকরা আবার গেলে তিনি সাংবাদিকদের আবারো বলেন কয়েকদিন পরে আসেন। পুনরায় ৭ আগষ্ট তথ্য চাওয়া হলে তিনি তথ্য অধিকার আইনে আবেদন জমা দেন তা নাহলে আমি কোন প্রকার তথ্য দিবো না। সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন পূর্বের আবেদন হারিয়ে ফেলেছি। এখন আপনাদের যা খুশি তাই লিখুন।
এছাড়া জানা যায় তিনি একটি ফৌজদারি মামলার আসামি ও বটে। ওই কর্মকর্তার নাকি উপরে লোক আছে সে কারনে ওনাকে কেউ কিছু করতে পারবেনা।
সুত্রে জানা যায় তিনি সরকারি বরাদ্দের ৭০% টাকা আত্মসাৎ করেছেন বলে জানাগেছে। পশুসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ লেলিন প্রধান সাংবাদিকদের তথ্য প্রদান না করে তিনি উচ্চস্বরে সাংবাদিকদের অফিস ত্যাগ করতে বলেন।
এখন ডাঃ লেলিন তিনি সাংবাদিকের ভুমিকা পালন করছেন!!!তাছাড়া তিনি সাংবাদিকদের ছবি তুলতে ব্যাস্ত হয়ে পড়েন।
এঘটনায় বিশিষ্ট জনেরা তদন্তপূর্বক ডাঃ লেলিন প্রধানে বিচার দাবি করছেন। একজন দূর্নীতিবাজ অফিসার এতো বড় দূর্নীতি করতে পারে না। তিনি জনগনের টাকা নিজের পকেটে নিতে পারেন না। আমরা এর তীব্র প্রতিবাদ করছি।
এবিষয়ে লোহাগড়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: জহুরুল ইসলাম এর সাথে কথা হলে তিনি জানান আমি বিষয় টা খোঁজ নিয়ে দেখবো।
এঘটনায় নড়াইল জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা মো: সিদ্দিকুর রহমান এর মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে তাকে পাওয়া যায় নাই।