সাঁথিয়া (পাবনা)প্রতিনিধিঃ
করমজা মনজুর কাদের বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহম্মদ উল্লাহর বিরুদ্ধে অর্থ আত্নসাৎ,রাজনৈতিক প্রভাব বিস্তার,অসদাচরন,ছাত্রীদের কাছে থেকে রশিদ বিহীন টাকা আদায়সহ নানা অভিযোগে উঠেছে। তার বিরুদ্ধে অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীবৃন্দরা অনাস্থা এনে অভিযোগ দিয়েছেন বিদ্যালয়ের সভাপতি ও সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবর।
বুধবার(১১ নভেম্বর) দুপুরে বিদ্যালয়ের অফিস রুমে এ বিষয়ে অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীবৃন্দের পক্ষ থেকে সহকারী প্রধান শিক্ষক মনসুর রহমান অভিযোগ করে বলেন,(হুবহু তুলে ধরা) অত্র প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক জনাব আহম্মদ উল্লাহ সাহেব তার নিয়োগ প্রাপ্তির দিন থেকে অদ্যবদি স্বচ্ছভাবে কোন হিসাব-নিকাশ দেন নাই। তার ক্যাশ-কলামনার বহি অসমাপ্ত। বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীবৃন্দকে রাজনৈতিক প্রভাব বলয় প্রয়োগ করে বিভিন্ন দল, উপদলে বিভক্ত করে রাখেন। তার অসদাচরনের জন্য বিদ্যালয়ের শিক্ষার পরিবেশ সর্বদাই বিনষ্ট হচ্ছে। ছাত্রীদের নিকট থেকে রশিদ বিহীন টাকা নেন। ছাত্রীরা দলে দলে বিভক্ত হয়ে তাদের রশিদ চাইতে গেলে দিচ্ছি-দিবো বলে রশিদ দেন না। বিদ্যালয়ের বেতন, ফি আদায় করা থেকে শুরু করে আয়-ব্যয় সংক্রান্ত সকল কাজ সেচ্ছাচারিত করে নিজের নিয়ন্ত্রনে রাখেন। বর্তমানে চলমান অভ্যন্তরীন অডিটেও তিনি কোন প্রকার সহযোগীতা করেন নাই ফলে অডিট অসমাপ্তই রয়ে গেছে। তিনি বিদ্যালয়ে নিয়মিত উপস্থিত না থেকে হঠাৎ একদিন এসে বিগত অনুপস্থিত দিনগুলো জোড়পূর্বক হাজিরা খাতায় স্বাক্ষর করে যান। এছাড়া বিদ্যালয়ের শিক্ষক- শিক্ষিকা ও কর্মচারীগণকে এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের মাধ্যমে মিথ্যা অজুহাতে চাপ সৃষ্টি করছেন একং শিক্ষকগণের নামে বেনামে বিভিন্ন মহলে বিভিন্ন অপবাদ ছড়াচ্ছেন। দীর্ঘ মেয়াদে মিথ্যচারিতা ও অনিয়মের কারনে অত্র বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীগণ তার উপর আর আস্থা রাখতে পারছেন না।
অতএব, বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীবৃন্দ মনে করেন যে, প্রধান শিক্ষকের পক্ষে আর্থিক বিষয়াদি সুরক্ষা করে পাঠদানের সুষ্ঠ্য পরিবেশ ও শৃংখলা ফিরিয়ে এনে বিদ্যালয় পরিচালনা করা তার পক্ষে সম্ভব নয় মর্মে আমরা শিক্ষক-শিক্ষিকা ও কর্মচারীবৃন্দ আপনার নিকট প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের প্রার্থনা পূর্বক অনাস্থা আবেদন পত্র দাখিল করলাম।
তিনি আরোও বলেন, প্রধান শিক্ষকের নিজের হাতে লেখা তারিখ বিহীন রশিদ নং ৩৬০১ এ ৬৪০০০ ও রশিদ নং ৪৬৯৭০ ,করমজা ইউপি চেয়ারম্যান কর্তৃক নগদ অনুদান ২০.০০০,এক স্যারের ফেরত ১০.০০০০, ২০১৬ সালে পুরাতন বই বিক্রি ৩৭০০০,খোয়া বিক্রি ৪৮০০,খড়ি বিক্রি ৩০০০,ওয়াশরুমের পুরাতন রড বিক্রি ৩৩০০সহ মোট ২৮৬৬৭০ টাকা ও বিদ্যালয়ের চারটি মেহগুনি গাছ বিক্রি করাসহ বিভিন্ন সময়ে অর্থেও হিসাব দেয়নি তিনি। এ বিষয়েও অভিযোগ দেওয়া হয়েছে।
পরে এলাকাবাসী ওই শিক্ষকের বিরুদ্ধে মানববন্ধন করে তার অপসারন দাবি করেন।
এ ব্যপারে অভিযুক্ত শিক্ষক আহম্মদ উল্লাহ বলেন, তার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ গুলো দিয়ে ইউএনওর কাছে অভিযোগ করা হয়েছে তা সম্পূর্ণ মিথ্যা ও বিত্তিহীন। ষড়যন্ত্র করে তাকে ফাসানো হয়েছে।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে সাঁথিয়া উপজেলা নির্বাহী অফিসার জাহিদুল ইসলাম ও উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তারকে অফিসে না পেয়ে তাদের মুঠোফোনে ফোন করেও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
সম্পাদক: মো: আব্দুল আল্ রাকিব।
হেড অফিস:- জামনগর বাজার, বাগাতিপাড়া,নাটোর।
প্রকাশক:- মো: রাজিবুল ইসলাম বাবু,
মোবাইল নম্বর:-০১৩১০-৩২১ ৩০৬.
বার্তা সম্পাদক :- নিরেন দাস
০১৯১৭-২১১১১২
E-mail:- crimewatchbanglatv.com
E-mail :- razibulislam0121@gmail.com
আইন উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট মো: ময়নাল ইসলাম।
জজ কোর্ট নাটোর।
০১৭১৭-৬৭৬ ৯৭৬.
০১৩১২-৬৭৬ ৯৭৬.
বানিজ্যিক কার্যালয় গুলশান-১ ঢাকা।
crimewatch24banglatv