মধুপুর টাঙ্গাইল প্রতিনিধিঃ
টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলাধীন গোলাবাড়ি ইউনিয়নের পঁচিশা গ্রামে প্রতিপক্ষের অতর্কিত হামলায় আইয়ুব খান (৬৫) নামের একজন গুরুতর ভাবে আহত হয়েছেন। তিনি অত্র এলাকার মৃত লোকমান খানের ছেলে।
সোমবার (২৩ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ১১টার দিকে পঁচিশা গ্রামের ৯নং ওয়ার্ডের সাবেক মেম্বার সরোয়ার খানের বাহির বাড়িতে এ হামলার ঘটনা ঘটে। আহত আইয়ুব খানের ছেলে সবুজ খান জানান, গতকাল ২২ সেপ্টেম্বর রবিবার সকালে আমি সবজির বাগান তৈরি করার জন্য আসামিদ্বয়ের জমির উপর দিয়ে একটি পাওয়ার ট্রিলার নিতে গেলে ১নং আসামী মোবারক খানের ছেলে কাইয়ুম খান পাওয়া ট্রিলার নিতে বাঁধা প্রদান করে।
এনিয়ে আমার সাথে তার কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে হাতাহাতি হয়। পরবর্তীতে আমার বাবা বিষয়টি মিমাংসার লক্ষ্যে গোলাবাড়ি ইউপি চেয়ারম্যান মোস্তফা খান বাবলুর নিকট জানান। তিনি আজ সকালে দুপক্ষকে নিয়ে বসার কথা থাকলেও অদৃশ্য কারনে সময় মতো তিনি উপস্থিত হননি।
চেয়ারম্যানকে না পেয়ে সে বাড়িতে ফেরার পথে পাশের বাড়ির সাবেক মেম্বার সরোয়ার খানের বাহির বাড়িতে চেয়ারে বসে এ বিষয়টি নিয়ে কথা বলার সময় ১নং বিবাদীর হুকুমে আসামীদ্বয় সহ আরও ৩/৪ জন সন্ত্রাসী বাহিনী লাঠিসোটা নিয়ে আমার বৃদ্ধ বাবার উপর অতর্কিত ভাবে হামলা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শী সাবেক মেম্বার সরোয়ার খান জানান, আইয়ুব খান ও আমি আমার বাহির বাড়িতে বসে গতকালের ঘটনা নিয়ে কথা বলছি এমন সময় মোবারকের ছেলে কাইয়ুম, কাইয়ুমের ছেলে পারভেজ, মৃত জুলহাসের ছেলে হুমায়ুন এবং হুমায়ুনের ছেলে মারুফ সহ আরও কয়েকজনকে সাথে নিয়ে এসে আমি বুঝে ওঠার আগেই আইয়ুব খানকে এলোপাতাড়ি ভাবে পিটাইতে থাকে। এক পর্যায়ে সে মাটিতে পড়ে গেলে বিবাদীগন লাঠিসোটা ও চেয়ার দিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক ভাবে আহত করে।
আমি অসুস্থ থাকার কারণে তাদের থামাতে পারিনি। পরবর্তীতে আমার ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন ছুটে এলে তারা পালিয়ে যায়। এলাকাবাসী ও তার পরিবারের লোকজন ঘটনাস্থল থেকে তাকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করে মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। তার ছেলে সবুজ খান জানান, আমার বৃদ্ধ বাবাকে হত্যার উদ্দেশ্যে নির্মমভাবে লাঠি দিয়ে পিটানো হয়েছে এবং তার চোখের নিচে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। সেখানে কয়েকটি সেলাই করতে হয়েছে। তার মাথায় ও মুখে কিল-ঘুষি মেরে থেঁতলে দেওয়া হয়েছে। আমি প্রশাসনের নিকট এদের কঠোর শাস্তি দাবি করছি। এবিষয়ে তার ছেলে বাদী হয়ে মধুপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেছেন।