October 19, 2024, 1:54 pm
শিরোনাম :
সিংড়ায় চেকপোস্ট পরিচালনা করে ৩৭ কেজি ৫০০ গ্রাম গাঁজাসহ মাদক ব্যবসায়ী গ্রেফতার-৩ ছাতকে ভারতীয় ৭২ বোতল মদ ও ট্রাক সহ ১৫০ বস্তা ভারতীয় চিনি আটক, গ্রেফতার-৩ বাগাতিপাড়ায় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতায় লাইভ ভেরিফিকেশন অনুষ্ঠান। রূপপুর রেলপথ উদ্বোধনের ২২ মাসেও ব্যবহার হয়নি বাগাতিপাড়ায় বড়াল নদী থেকে অবৈধ বাঁশের বাঁধ অপসারণ। নাটোরের বাগাতিপাড়ায় ঘাস মারার বিষ খেয়ে এক নারীর আত্মহত্যা । ছাতকে নামাজি শিশুদের  মধ্যে বাইসাইকেল বিতরণ করলেন লতিফিয়া স্টুডেন্ট ও যুব ফোরাম বিশ্ব নবীকে নিয়ে কটুক্তি। মধুপুরে পূজা মন্ডপ পরিদর্শনে বিএনপি’র জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য স্বপন ফকির মেহেরপুরে পরিবেশক ঐক্যের বনভোজন অনুষ্ঠিত

রূপপুর রেলপথ উদ্বোধনের ২২ মাসেও ব্যবহার হয়নি

মামুনুর রহমান, পাবনা:

২০২৩ সালের ৯ ফেব্রুয়ারিতে জাঁকজমকপূর্ণ আয়োজনে ঈশ্বরদী-রূপপুর রেলপথ এবং রূপপুর স্টেশন ভার্চুয়ালি উদ্বোধন করা হয়। এই প্রকল্প বাস্তবায়নে ব্যয় হয়েছে ৩৩৫ কোটি ৯৭ লাখ টাকা। উদ্বোধনের ১ বছর ১০ মাস পেরিয়ে গেলেও এক ছটাক পণ্য পরিবাহিত হয়নি এই রেলপথে। বিপুল পরিমাণ অর্থ ব্যয়ে নির্মিত রূপপুর স্টেশনটি বর্তমানে ‘ওয়াগন ইয়ার্ড’ হিসেবে এবং রেল কর্তৃপক্ষের মালপত্র রাখার কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, নদী ও সড়কপথে বিদ্যুৎ প্রকল্পের বিভিন্ন মালপত্র ও ভারী যন্ত্রাংশ রূপপুর প্রকল্পে আনা হয়। রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের ভারী যন্ত্রপাতি প্রকল্পের অভ্যন্তরে পৌঁছাতে এবং লোড-আনলোডের জন্য তৈরি করা হয়েছে রূপপুর রেল স্টেশন ও ঈশ্বরদী-রূপপুর রেলপথ। এছাড়াও ঈশ্বরদী ইপিজেডের মালামাল এ রেলপথে পরিবহনের কথাও সে সময় বলা হয়। প্রকল্প সূত্রে জানা যায়, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের অধীনে এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করে রেল কর্তৃপক্ষ। ২০১৮ সালের এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ৩০ জুন পর্যন্ত চলে কর্মযজ্ঞ। প্রকল্পের আওতায় ঈশ্বরদী বাইপাস স্টেশনথেকে ঈশ্বরদী হয়ে রূপপুর পর্যন্ত ২৬.৫২ কিলোমিটার রেলপথ ও রূপপুর নামে একটি স্টেশন নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে ১৩টি লেভেল ক্রসিং, সাতটি বক্স কালভার্ট নির্মাণ এবং রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের সঙ্গে সংযোগ স্থাপনের জন্য কম্পিউটার বেইজ কালার লাইট সিগন্যালিং সিস্টেম স্থাপন করা হয়। ‘ওয়াগন ইয়ার্ড’ হিসেবে কাজ করছে
বাংলাদেশ রেলওয়ে পশ্চিমাঞ্চলের মহাব্যবস্থাপক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আহম্মদ হোসেন মাসুম বলেন, বিষয়টি রূপপুর প্রকল্পের ইস্যু। এখন হয়তো ব্যবহার হচ্ছে না, কিন্তু ভবিষ্যতে রূপপুর প্রকল্পের কাজে অনেক বেশি ব্যবহার হতে পারে
প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা উদ্বোধনের সময় বলেছিলেন, রূ পপুর স্টেশন থেকে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল করবে না। এটি শুধু রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের মালপত্র ও ভারী যন্ত্রপাতি আনা-নেওয়ার জন্য ব্যবহৃত হবে। পাশাপাশি ঈশ্বরদী ইপিজেডের মালামালও এ স্টেশন থেকে পরিবহন করা হবে। সরেজমিনে দেখা যায়, পাকশীর পদ্মার কোল ঘেঁষে আধুনিক আঙ্গিকের রূপপুর স্টেশন জনশূন্য। রেলওয়ের নিরাপত্তা বাহিনীর সদস্যরা সেখানে দায়িত্ব পালন করছেন। প্ল্যাটফরম এলাকায়
বিক্ষিপ্তভাবে ময়লা জমে আছে। টিকিট কাউন্টার, গুডস বুকিং রুম, গেস্টরুম, ভিআইপি রুম, প্রথম শ্রেণির ওয়েটিং রুম, স্টেশনমাস্টার, সহকারী স্টেশনমাস্টারসহ সব কক্ষই তালাবন্ধ। নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা এক সদস্য বলেন, রূপপুরের মালপত্র আনা-নেওয়ার জন্য স্টেশন থেকে যে রাস্তা রয়েছে, সেটি হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচ দিয়ে। এদিক দিয়ে আনা-নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ। শুনেছি এজন্যই নাকি লোড-আনলোড হচ্ছে না। পাকশী বিভাগীয় রেলওয়ে পরিবহন কর্মকর্তা (ডিটিও) আনোয়ার হোসেন বলেন, নতুন স্টেশন ও রেলপথ দিয়ে রূপপুর প্রকল্পের জন্য কোনো মালপত্র ওঠানো-নামানো বা আনা-নেওয়া এখনো হয়নি। স্টেশন ইয়ার্ডে রেলের নতুন কিছু ওয়াগন ও কোচ রাখা হয়েছে, যা ভারতসহ বিভিন্ন দেশ থেকে আমদানি করা। স্থান সংকুলান ও নিরাপত্তার অভাবে বর্তমানে রূপপুর স্টেশনে এসব কোচ এনে রাখা হয়েছে। পশ্চিমাঞ্চলের
বাংলাদেশ রেলওয়ে মহাব্যবস্থাপক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) আহম্মদ হোসেন মাসুম বলেন, বিষয়টি রূপপুর প্রকল্পের ইস্যু। যারা টাকা দিয়েছেন, তারাই এটি ব্যবহার করবেন। এখন হয়তো ব্যবহার হচ্ছে না, কিন্তু ভবিষ্যতে রূপপুর প্রকল্পের কাজে অনেক বেশি ব্যবহার হতে পারে। তবে বিষয়টি সম্পর্কে রুপপুর প্রকল্প কর্তৃপক্ষ ভালো বলতে পারবেন।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *


ফেসবুকে আমরা