স্টাফ রিপোর্টার:
এ বিষয়ে উপজেলার মনিগ্রাম এলাকার রফিকুল ইসলাম জানান, মাত্র ৪৬ হাজার টাকায় গরু কিনে ইজারা টোল গুনতে হয়েছে ৭০০ টাকা। পার্শ্ববর্তী চারঘাট উপজেলার নিমপাড়া ইউনিয়ন এলাকার আমির আলী জানান, আমি একটি বাছুর গরু ক্রয় করেছি যার মূল্য ৫০ হাজার ৫০০ টাকা। আমার কাছেও ইজারা টোল নিয়েছে ৭০০টাকা। এছাড়াও বাগাতিপাড়া উপজেলার জামনগর এলাকার জান্নাত আলী বলেন, আমি ৫৫ হাজার টাকা দামে একটি বাছুর গরু কিনেছি। আমার কাছে ইজারা টোল নিয়েছে ৮০০ টাকা। কম নেওয়ার জন্য অনুরোধ করেছি ইজারাদারের লোকেরা মানেনি তাই বাধ্য হয়ে আমি তা পরিশোধ করেছি।
এছাড়াও চারঘাট উপজেলার বড়বড়িয়া এলাকার ছাগল ক্রেতা মোশাররফ বলেন, আমি ৮ হাজার ৯শ টাকা দিয়ে ছাগল কিনেছি। অথচ খাজনা দিতে হলো ৪৫০ টাকা। সরকারের নির্ধারিত খাজনা ছাগল প্রতি ১৫০ টাকা থাকলেও ইজারদার অতিরিক্ত ৩০০ টাকা বেশি নিচ্ছে। যিনি বিক্রি করতে এসেছেন তার কাছ থেকে আরও ১০০ টাকা সহ মোট ৪০০ টাকা বেশি আদায় করা হচ্ছে।
রুস্তমপুর পশু হাটের ক্রেতারা অভিযোগ করে বলেন, একদিকে ইজারাদাররা আমাদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ইজারা আদায় করছে। অপরদিকে রশিদে খাজনার পরিমাণও উল্লেখ করা হচ্ছে না।
জানা যায়, সরকারি ভাবে প্রতিটি গরুর জন্য ৫০০ টাকা ও প্রতিটি ছাগল-ভেড়ার জন্য ১৫০ টাকা টোল নির্ধারণ করা হয়েছে। গবাদিপশুর ক্ষেত্রে শুধু ক্রেতা টোল দেবেন বিক্রেতা নয় এমনটি স্পষ্ট উল্লেখ রয়েছে। শুধু ক্রেতার কাছ থেকে টোলের টাকা নেওয়ার নিয়ম থাকলেও রুস্তমপুর হাটের ইজারাদারের লোকজন বিক্রেতাদের কাছ থেকেও গরু প্রতি ১০০ টাকা এবং ছাগল প্রতি ১০০ টাকা আদায় করছেন।
সরকার নির্ধারিত মূেল্য খাজনায় আদায় করা হচ্ছে কিনা জানতে চাইলে রুস্তমপুর হাটের ইজারদারের প্রতিনিধি বলেন, বাংলাদেশের সব বাজার কি নিয়মে চলে?
আমরাও এভাবেই করছি। কারণ হাটটি অনেক বেশি টাকায় ইজারা নেওয়া হয়েছে।
এ ব্যাপারে মুঠোফোনে আড়ানী পৌরসভার মেয়র মুক্তার আলী বলেন, রুস্তমপুর পশু হাটে অতিরিক্ত খাজনার টাকা আদায়ের বিয়টি আমি দেখবো।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তরিকুল ইসলাম বলেন, বিষয়টি পৌরসভা দেখভাল করে। তবে লিখত অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
উল্লেখ্য, আলহাজ্জ্ব রফিকুল ইসলাম ২৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৩ ইং সালে ২কোটি ৩৭ লক্ষ ৯শ ২৭ টাকা এবং চলতি বছরের ১২ ফেব্রুয়ারী ২ কোটি ৬১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা দর দিয়ে রুস্তমপুর বাজার ইজারা নেন রফিকুল ট্রেডার্স। অতিরিক্ত ইজারা পুষিয়ে নিতেই অতিরিক্ত খাজনার টাকা গুনতে হচ্ছে সধারণ ক্রেতাদের। প্রকৃত অর্থে এ দায় কার, প্রশ্ন জনমনে?